এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিশু সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন, হাইকোর্টের বক্তব্যে চাপে কমিশন!

শিশু সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন, হাইকোর্টের বক্তব্যে চাপে কমিশন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   আজকের যারা শৈশব, আগামীর তারা ভবিষ্যত। বারবার সেই শৈশবকে সুরক্ষিত রাখার কথা বলেন সকলে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস গোটা ভারতবর্ষকে আক্রান্ত করেই চলেছে। দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দেশের শাসকবর্গ সকলেই নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। কিন্তু শিশুদের সুরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছে না কেউই ।

তাই এই পরিস্থিতিতে যখন শিশুদের সুরক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুরা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও, কেন তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল আদালতকে। স্বাভাবিক ভাবেই আদালতের এই প্রশ্নের মুখে পড়ে এখন রীতিমত চাপে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে ছোট্ট শৈশব আক্রান্ত হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এই গোটা বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন তার শুনানি পর্বে শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দিকে প্রশ্ন তুলে দেন বিচারপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে শিশুদের অনেক কথা সম্পর্কেই কমিশন অবগত নয় বলে দাবি করতে দেখা যায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে। আর আদালতের এই মন্তব্যে শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রীতিমত কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন সমস্ত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন করতে দেখা যায় বিচারপতিকে।

জানা গেছে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এই ব্যাপারে শুনানি হয়। যেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “কমিশনের ওয়েবসাইট দেখে মনে হচ্ছে, কমিশন অন্ধকারে রয়েছে। শিশুদের অনেক সমস্যার কথা ওয়েবসাইটে নেই। এই লকডাউনে অনেক পথশিশু নানা কারণে সমস্যায় রয়েছে। সেই বিষয়ে কেন ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হয়নি! কমিশন কি ঘুমোচ্ছিল?” অর্থাৎ শিশু রক্ষা অধিকার কমিশনের দিকে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে তারা যে শিশুদের সমস্যা নিরসন করতে উদ্যত নয়, তা বুঝিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

যার ফলে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেল কমিশন। তবে আদালতের পক্ষ থেকে যখন এই প্রশ্ন করা হয়েছে, তখন কমিশনের আইনজীবীরা তার কোনো উত্তর দিতে পারেননি। যা আরও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বভাবতই করোনা এবং লকডাউনের সময় অনেক শৈশবের নিরাপত্তা হীনতার বিষয় হাইকোর্টে ওঠায় এখন ব্যাপক চাপে শিশু রক্ষা অধিকার কমিশন। তবে পরবর্তী শুনানির দিনে এই ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে কি যুক্তি দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!