এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > শীতলকুচি কাণ্ডে শোকপ্রকাশ রাজ্যপালের, নাম না করে মমতাকে আক্রমণ!

শীতলকুচি কাণ্ডে শোকপ্রকাশ রাজ্যপালের, নাম না করে মমতাকে আক্রমণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গণতন্ত্র একটি উৎসব। কিন্তু সেই উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচনে প্রাণ চলে গিয়েছে পাঁচ জন মানুষের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রাজনৈতিক তরজা চরম আকার নিতে শুরু করেছে। ভোটের মধ্যে পাঁচ জন মানুষের মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, দুই রাজনৈতিক দল যখন গোটা ঘটনা নিয়ে দড়ি টানাটানি করতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই টুইট করে শোকপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর।

যেখানে রবিবার দুপুরে একটি টুইট করে গোটা ঘটনার নিন্দা করলেন তিনি। পাশাপাশি হিংসার যে কোনো স্থান নেই, সেই ব্যাপারেও টুইটে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এদিন নাম না করে শাসকদলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। যেখানে সরকারি কাজে নিযুক্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং আধাসেনার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত বলে শাসক দলকে পরামর্শ দেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যপালের এই ধরনের ট্যুইট যে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যেখানে তিনি লেখেন, “সকলের হিংসার নিন্দা করা উচিত। অশান্তি বন্ধ করতে সকলের উদ্যোগী হওয়া দরকার। গণতন্ত্রে হিংসার কোনো স্থান নেই। কোচবিহারে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এবং দুঃখজনক।”

তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমনকি রাজ্যজুড়ে কালো ব্যাচ পড়ে আন্দোলনে নেমেছে শাসক দল। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, এবার তা নিয়ে টুইটে মুখ খুলতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ নিয়ে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ট্যুইটে জাগদীপ ধনকার লেখেন, “শাসকের নিজেদের রাজধর্ম পালন করা উচিত। সরকারি কাজে নিযুক্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা আধাসেনাদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।” অর্থ্যাৎ শাসক দলের পক্ষ থেকে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা যে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, তা নিজের টুইটের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপালের আসনে বসার পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে জাগদীপ ধনকারকে। যার ফলে তৃণমূল সরকারের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিবাদ তৈরি হতে দেখা গেছে তার। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে “পদ্মপাল” বলে আক্রমণ করা হয়েছে। আর নির্বাচনের মুহূর্তে শীতলকুচির ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করে নাম না করে শাসক দলকেই প্রমাণ করলেন রাজ্যপাল।

একদিকে 5 জন মানুষের মৃত্যুর পর যেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হয়েছে, এবার সেই তালিকায় রাজ্যপালের আক্রমণ যুক্ত হওয়ায় তৃণমূল যে যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!