এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে এনসিপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রের কুর্শি দখলের পথে আরও এগিয়ে গেল শিবসেনা

বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে এনসিপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রের কুর্শি দখলের পথে আরও এগিয়ে গেল শিবসেনা


সরকার গঠন ঘিরে ফের নয়া জটিলতার মুখে মহারাষ্ট্র। বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। কিন্তু রবিবার বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করবে না। ভোটের ফলের দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও কোন দল সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারেনি এখনো। অন্যদিকে, আড়াই বছর বিজেপি এবং বাকি আড়াই বছর শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীত্বের যে দাবি উদ্ভব ঠাকরে তুলেছিলেন তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। এদিকে শিবসেনাও তাঁদের দাবিতে অনড়।

সূত্রের খবর, এনসিপির পক্ষ থেকে শিবসেনাকে সমর্থন জানানো হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু জানাননি। এনসিপি জোট সঙ্গী আবার কংগ্রেস। তাই তাঁদের সিদ্ধান্তের জন্য এমসিপি অপেক্ষমান বলে জানা গেছে। এদিন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগের কথায় জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় বৈঠকে স্হির হবে সমস্ত সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বৈঠকে বসেছেন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে। অন্যদিকে সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সাথে বৈঠকে বসেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার।

ম্যাজিক সংখ্যা জোগাড় করতে না পারার ফলে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্বেও মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারেনি। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি শিবসেনার কাছে সে সুযোগ আসে। অন্যদিকে শিবসেনা এককভাবে বা এনসিপি’র সমর্থনে সরকার করতে পারবে না। তার জন্য তাঁদের প্রয়োজন হবে কংগ্রেস সহ অন্যান্য শরিকদের সমর্থনের। এনসিপির শর্ত অনুযায়ী এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত। ফলে দীর্ঘদিনের বিজেপি সেনা জোট সমাপ্ত হলো।

প্রথম থেকেই শিবসেনা দাবি জানিয়ে আসছে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার জন্য ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলার। যদিও বিজেপি নির্বাচনের পর থেকে এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে। ফলে তখন থেকেই শিবসেনা বেঁকে বসেছে জোট শরিক বিজেপিকে সমর্থন এর ব্যাপারে। যার ফলস্বরূপ বিজেপির সরকার গড়া হলো না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রবিবার রাত থেকেই শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার অভিপ্রায় নিয়ে বৈঠকে বসেন। অন্যদিকে এনসিপি’র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেন, বিজেপির সাথে কোন যোগসূত্র থাকলে তাঁরা শিবসেনাকে সমর্থন জানাবে না। এদিন এনসিপি নেতা নবাব মালিক জানান, ‘শিবসেনাকে এনডিএ ছাড়তে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারে তাঁদের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী রয়েছেন। তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে। তারপরেই সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে দল।’

এনসিপির শর্ত অনুযায়ী শিবসেনা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে। অন্যদিকে, সম্পূর্ণ ঘটনায় শিবসেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপাল সরকার গড়তে আমাদের 72 ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। যা যথেষ্ট বলে মনে করি। আসলে এসব হলো রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে বিজেপির কৌশল।’ অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশরা।

তবে কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের টুইটে এদিন অন্য কথা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘সরকার গঠন কে কিভাবে করবে তা বিবেচ্য নয়। তবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। যা 2020 সালেই হতে পারে। আমরা কি নির্বাচন যাব শিবসেনার সঙ্গী হয়ে?’ অন্যদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে বসে কংগ্রেসের বৈঠক। সমস্ত কংগ্রেস বিধায়কদের সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের জয়পুরে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই মল্লিকার্জুন খারগে বিধায়কদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন বলে জানা গেছে।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক জটিলতা এখন চূড়ান্ত উদ্বেগের কারণ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের শরিকি দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ময়দানে এখন দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির। আপাতত শরিকি দ্বন্দ্বে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন অন্য জটিলতার শিকার। কিভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিজেপি সেনার ওপর দায় ঠেলে লক্ষ্য রাখছে, তাঁরা কিভাবে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অর্থাৎ পুরো পরিস্থিতি কিভাবে সামলায়। তবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে নজর এখন সবার। কোন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যাবে তা নিয়ে এখন তামাম রাজনৈতিক মহল সন্দিহান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!