শিয়রে ভোট! ঝাঁটা হাতে মহিলাদের হামলার অভিমান ভুলে তিন বছর বাদে কর্মসূচি তৃণমূলী মন্ত্রীর তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি রাজ্য November 30, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিগত তিন বছর এলাকায় দেখা যায়নি মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। কিন্তু অবশেষে রবিবার বিকেলে ভুয়ো মামলায় জেলে আটকে থাকা চারজনের বাড়ি গিয়ে তাদের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কিছু মানুষের সঙ্গেও দেখা করতে দেখা যায় এই তৃণমূল বিধায়ককে। কিন্তু এতদিন পরে কেন বিধায়ক এলাকার মানুষের কাছে এলেন? এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে মানুষের মন পেতে এখন বিধায়ক আবার নতুন করে এলাকায় আসতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2018 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গলকোটের পশ্চিম কাশিমনগরে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যেখানে মহিলারা ঝাঁটা নিয়ে মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। আর ওই দিনের পর থেকে এই এলাকায় কোনো কর্মসূচি করতে আসেননি রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু এখন আবার সেই এলাকায় আসতে দেখা গেল তাকে। জানা গেছে, এদিন ভুয়ো মামলায় তৃণমূল কর্মীদের আড়াই তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক। সেই ব্যাপারে তিনি এলাকায় স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “ভুয়ো মামলায় আটকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একজন ইতিহাসে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ রয়েছেন। প্রত্যেকের ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। আমার কারণে কেউ জেলে রয়েছেন। সেটা অত্যন্ত দুঃখের। মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে আটকে থাকা কর্মীদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি করেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে। গড়িমশি করলে বিধায়ক হিসেবে আমার মুখ পুড়বে।” একাংশ বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিগত দিনে এখানকার মহিলাদের তাড়া খেয়ে আর এই এলাকার মুখো হননি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু এবার বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরেছেন তিনি। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে আবার সেই এলাকায় আসতে দেখা গেল তাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি ভোট বড় বালাই? আর তাই এখন এলাকায় আসলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “সাড়ে চার বছর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কেটেছে। এখন ভোট আসছে বলে তৃণমূল কর্মীদের কথা মনে পড়েছে।” যদিও বা স্থানীয় বিধায়ক মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় আসেন বলে দাবি করেছেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী। তিনি বলেন, “উনি বিধায়ক হিসেবে মঙ্গলকোটে আসবেন এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোথাও বৈঠক করেছেন বলে মনে হয় না। এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী কুনর নদী পার করে প্রতিমাসে মঙ্গলকোটে যাতায়াত করেন।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে কথাই বলা হোক না কেন, এতদিন বিধায়কের দেখা না মেলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি আবার এলাকায় সক্রিয় হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সকলেই বলছেন, আসলে ভোট বড় বালাই। তাই নির্বাচনের আগে এখন আবার বিধায়ক এলাকায় সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -