প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা দখল করার পর এবার তার টার্গেট দিল্লি দখল। সেই লক্ষ্যে সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্ষরিক অর্থেই গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে নানা পরিকল্পনা করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বাৎসরিক বড় কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চে হতে চলেছে মেগা যোগদান। যেখানে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন শত্রুঘ্ন সিনহার মত হেভিওয়েট মুখ।

আর শত্রুঘ্ন সিনহা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর পর তাকে ভর করে অন্যান্য রাজ্যগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের কাজ শুরু করে দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনার কাজ শুরু করে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই হেভিওয়েট মুখদের নিজেদের ছাতার তলায় নিয়ে এসে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা শুরু করে দেবে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এই বছরও তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। সেদিক থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভার্চুয়ালি এই শহীদ দিবসেও মেগা যোগদান পর্ব থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, শত্রুঘ্ন সিনহা।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগেই প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা যোগদান করেছেন ঘাসফুল শিবিরে। আর তারপরেই তাকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি করা হয়েছে। অর্থাৎ যশবন্ত সিনহার মত হেভিওয়েট মুখকে কাজে লাগিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে এবার শত্রুঘ্ন সিনহাকেও ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করিয়ে আরও বেশি করে জাতীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের কৌশল নিল ঘাসফুল শিবির।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভের ক্ষেত্রে প্রথমেই মনিপুর এবং অসমের মতো রাজ্যগুলোতে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে তাদের তুরুপের তাস হতে চলেছেন যশবন্ত সিনহা এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। অর্থাৎ ধীরে ধীরে গুটি গুটি পায়ে এবার ভারত জয়ের লক্ষ্য নিয়ে বাংলার বাইরে সংগঠন করার দিকে নজর দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার দিকেও তৃণমূলের নজর রয়েছে। কেননা সেখানে সুদীপ রায় বর্মন সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক বেসুরো হতে শুরু করেছেন।

তাই মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর সুদীপ রায় বর্মন সহ একাধিক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে যদি তাদেরকে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করানো যায়, তাহলে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের ওপর যথেষ্ট চাপ বৃদ্ধি করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই সব কিছুকে পাথেয় করে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কাজে লাগিয়ে একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের পরেই সংগঠন বিস্তারের বড় পদক্ষেপ নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।