এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শহীদ ইমোশন নিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার করা তৃনমূল কি এখন শহীদবেদী বিক্রির পথে?

শহীদ ইমোশন নিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার করা তৃনমূল কি এখন শহীদবেদী বিক্রির পথে?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 1977 সাল থেকে 2011 সাল, বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে কখনও কংগ্রেস আবার কখনও বা তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের আন্দোলন, তদানীন্তন শাসকদলের অত্যাচার, খুন, সন্ত্রাস, তৃনমূলের নেতা কর্মীদের ভাষনে অধিকাংশ বিষয়জুড়েই থাকে এইসব ঘটনার উল্লেখ। আর শুধুমাত্র নেতা কর্মীরা কেন, তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাক্তিত্বের শুরু এবং শেষ দুটিই যে বামপন্থা বিরোধীতা, সেই বিষয়েও একমত প্রায় অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাই।

একাংশের মতে, তৃনমূল কংগ্রেস গঠন থেকে শুরু করে আজও অবধি দলের একটা মাত্র আইডোলজি ছিল, বাংলার মাটিতে সিপিএম এবং সমকক্ষিয় রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করা। এক সময় তৃনমূলের নেতা কর্মীরা লাল পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে কোনোরকম ব্যাবহারিক জিনিসের রঙই লাল রাখতেন না। এতটাই ছিল বাংলার মাটিতে সিপিএম বনাম তৃনমূলের রাজনৈতিক দূরত্ব।

2016 সালে যখন ভারতবর্ষের জাতীয় কংগ্রেস বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করল, সেই সময় রাস্তায় নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে একঝাঁক তৃনমূল নেতৃত্ব কংগ্রেসকে “গদ্দার” বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই 1977 সাল থেকে শুরু করে তৃনমূল কংগ্রেস গঠনের আগে পর্যন্ত এবং তার পরেও বামপন্থীদের দ্বারা অত্যাচারিত কংগ্রেস কর্মীদের আত্মত্যাগ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই ইমোশনে 2016 সালের নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু বর্তমানে রাজনীতি অনেক পাল্টে গেছে। বাম কংগ্রেসের কাছ থেকে বিরোধীদলের শিরোপা অনেক আগেই ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূলের এখন প্রধান মাথাব্যথার কারণ বিজেপি। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃনমূলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল 18 টি আসনে পদ্মফুল ফোটায়। তাই বিজেপিকে আটকাতে এখন কি সেই বাম-কংগ্রেসেরই হাত ধরতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? দলের তাবড় তাবড় নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলন এবং বক্তব্যে কিন্তু জল্পনাটা বাড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অতি সম্প্রতি তৃনমূল সরকারের মন্ত্রী তাপস রায়ের বক্তব্য এবং সৌগত রায়ের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে একগুচ্ছ কথা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যার সারবক্তব্য এই দাঁড়ায়, বাংলায় যত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল আছে, তাদের সকলেরই তৃনমূলকে সমর্থন করা উচিত। এখন জল্পনা উঠছে, ভারতবর্ষের মাটিতে কিন্তু বাম-কংগ্রেসও তথাকথিত সেকুলার দল হিসেবেই পরিচিত। তাহলে কি নেপথ্যে তাদেরকেই তৃনমূলের তরফ থেকে জোটের আহ্বান জানানো হচ্ছে! যদি এই ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে নির্বাচনের ফলাফল যাই আসুক না কেন, মাঠের লড়াই কিন্তু অনেক বেশি শক্ত হয়ে যাবে তৃনমূলের ক্ষেত্রে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একেতেই সিলেবাসে বাম বিরোধীতা না থাকলে তৃনমূলের বক্তাদের সত্তুর শতাংশ বক্তব্যের ভার শূন্য হয়ে যাবে। অপরদিকে সিপিএম-তৃনমূলকে একখানে পেলে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে কিন্তু ছেড়ে দেবেন না ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বরা। তাতে আরও চিন্তার বিষয় তৃনমূলের সঙ্গে থেকে বাম বিরোধী আন্দোলন করা অনেক নেতাই কিন্তু এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তাই এইরকম একটা ইস্যু পেলে তারা যে কি করতে পারে, সেই নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা রয়েছে। এখন বাংলার মাটিতে তেলে-জলে মিল খায় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!