এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন-বৈশাখীকে মমতার সাদরে গ্রহণ! কি ভাবছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়?

শোভন-বৈশাখীকে মমতার সাদরে গ্রহণ! কি ভাবছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়?


কয়েক দশকের পরম্পরাকে বজায় রাখতে রাজনৈতিক জগতে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটলো। গত 29 শে অক্টোবর অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন দুপুরে অভাবনীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হলেন বিজেপির শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সমগ্র রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি এবার বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফেরত আসতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় তথা দিদির কানন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সহ?

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার খবরে সবথেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচতে তিনি তাঁর ফোন সবসময়ের জন‍্য বন্ধ রাখেন এদিন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্য জায়গায়। রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজে থেকে কি তাঁর ফোন বন্ধ রেখেছেন, নাকি তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ অনুসারে কাজ করলেন? যদিও দলীয় সূত্রের খবর, প্রাক্তন মেয়র পত্নী আগেই জেনে গিয়েছিলেন ভাইফোঁটার দিন এরকম একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ডেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে একথা জানিয়েছিলেন। সঙ্গে তাঁকে আশ্বস্তও করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, ভাইফোঁটা নেওয়ার সাথে সাথে উপহারসামগ্রীর আদান-প্রদানও চলে মুখ্যমন্ত্রী ও শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঘটনায় বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ও ভরসা ছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সাথে।

কিন্তু এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসা নিয়ে তার মনে কি কোন আশঙ্কা সৃষ্টি করলো? যদিও প্রাক্তন মেয়র এর সাথে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও তিনি বরাবরই চেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলেই থাকুক। বিজেপিতে যাওয়ার খবরে সবথেকে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এমনকি এই ঘটনায় তিনি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দায়ি করেছিলেন।

তবে সূত্রের খবর, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সেসময়ের সমস্ত প্রতিক্রিয়া ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ অনুযায়ী। রত্না চট্টোপাধ্যায় সেসময় দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর ওপর অত্যন্ত বিরক্ত। কিন্তু এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব‍্যের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র সামনে এলো।এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি রাখা হয়নি।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আবার একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সমীকরণ দেখার অপেক্ষায়? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এক্ষুনি পাওয়া যাবে না। তবে রাজনৈতিক মহলের অলিতে-গলিতে এ ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এ দিনের ঘটনায় প্রাক্তন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মনে কতটা দাগ কাটলো তা নিয়ে তীব্র কৌতূহল রাজনৈতিক মহলে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!