এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভনকে দলে ফেরাতেই কি রত্নার দায়িত্ব কেড়ে নিল তৃণমূল? কে পেলেন নতুন দায়িত্ব! জেনে নিন!

শোভনকে দলে ফেরাতেই কি রত্নার দায়িত্ব কেড়ে নিল তৃণমূল? কে পেলেন নতুন দায়িত্ব! জেনে নিন!


শোভন চট্টোপাধ্যায় যেন বঙ্গ রাজনীতির সমস্ত ঘটনাকেই প্রতিমুহূর্তে গুলিয়ে দিচ্ছেন। কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এখন ঘরে বসে থাকলেও, তাকে নিয়ে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই চিন্তিত। সকলের মনে এখন একটাই গুঞ্জন, কি করবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়!‌ স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে উত্থানের জন্য বহুদিন আগেই দীর্ঘদিনের দল ও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভনবাবু।

তারপর কেটে গেছে অনেক সময়।বিজেপিতে থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ও রত্না চট্টোপাধ্যায়কে চাপে রাখবেন বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপিতে গিয়েও বারবার নানা টিপ্পনী শুনে কার্যত ঘরে বসে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে ভাইফোঁটার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তার যাওয়ার পরেই তার তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এতেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সামনে পৌরসভা নির্বাচন।

আর তার আগে সম্প্রতি সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র এবং তার ওয়ার্ডের দায়িত্ব তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়ার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষুব্ধ হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করলেও, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে উত্থান যে তিনি মেনে নিতে পারছেন না, তা তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যায়। এমনকি পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবেন শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেও জানা যায়। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সদরদপ্তর নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনার পরেই জল্পনা ছড়ায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিলেন। আর আশ্চর্যজনক ভাবে এই ঘটনা ঘটার পরেই এবার সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড এবং তার বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। যা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভকে কমানোর অন্যতম প্রধান কারণ বলেই মনে করছে একাংশ। সূত্রের খবর, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে বেহালা পূর্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুশান্ত ঘোষকে। তাহলে কি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তৃনমূলে আনতেই দলের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভ কমানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হল? কেন তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে বেহালা পূর্বের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আমি নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। আমার পক্ষে ওখানে কাজ করা কঠিন হচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল এখানকার কাউন্সিলর সবাই হয়ত আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না। তাই আমি আজ সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে এসেছি।” তবে রত্না চট্টোপাধ্যায় যে কথাই বলুন না কেন, সুশান্ত ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কিছুটা যেমন সচেতনতা অবলম্বন করল, ঠিক তেমনই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরানোর জন্যই তাদের এই পদক্ষেপ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন সুশান্তবাবুকে তৃণমূল দায়িত্ব দেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মান ভঙে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!