এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শোভন-বৈশাখী-রত্না, ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতা কি প্রভাব ফেলছে রাজনৈতিক প্রচারপর্বে?

শোভন-বৈশাখী-রত্না, ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতা কি প্রভাব ফেলছে রাজনৈতিক প্রচারপর্বে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শোভন-বৈশাখী এবং রত্না- এই ত্রিকোণ পারিবারিক সম্পর্ক এখন রাজনৈতিক আখড়ায়। যথারীতি সম্পর্কের টানাপোড়েন রাজনৈতিক মহলেও যে যথেষ্ট ছাপ ফেলেছে, তা পরিষ্কার। শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীকে নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন প্রায় দেড় বছর আগে। তার পর দীর্ঘদিন শোভন-বৈশাখী দুজনেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান গেরুয়া শিবিরে। উল্টোদিকের তৃণমূল শিবির থেকে কিন্তু বিভিন্ন সময় তীব্র কটাক্ষ করা হয় শোভন-বৈশাখীকে। সেক্ষেত্রে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা থাকে সর্বাগ্রে। তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোভন-বৈশাখীকে সক্রিয় করে তোলে গেরুয়া শিবির।

আর তারপর থেকেই কলকাতাজুড়ে বিভিন্ন সময় শোভন-বৈশাখী নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এদিন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে রোড শো করতে গিয়ে কিন্তু তীব্র অস্বস্তিতে পড়লেন শোভনসহ গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, আজকে বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় হাজির হয়েছিলেন গেরুয়া প্রচারে মহেশতলায়। গেরুয়া শিবিরের হয়ে সেখানে রোড শো এবং জনসভা করেন শোভন-বৈশাখী। কিন্তু এই প্রচারপর্বেই তীব্র অস্বস্তির মুখোমুখি হলেন শোভন-বৈশাখী। প্রসঙ্গত, আজকে রোড শোয় শোভন-বৈশাখীকে কালোপতাকা দেখানো হয়, পাশাপাশি জুতো দেখিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা চলে।

এমনকি রাস্তার ধারে ধারে প্ল্যাকার্ড চোখে পড়েছে যেখানে লেখা রয়েছে শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে চরম বার্তা। তবে গেরুয়া শিবির দাবি করছে, এই সবকিছুর পেছনে রয়েছে তৃণমূল শিবিরের কালো হাত। এব্যাপারে শোভনও একমত। তিনিও নিশ্চিত জানিয়েছেন, মহেশতলায় আজকের ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত আছে। প্রসঙ্গত, আজ মহেশতলার জিঞ্জিরা বাজার থেকে মোল্লার গেট মোড় পর্যন্ত বিজেপির রোড শো শুরু হয়। উল্লেখ্য, মহেশতলা এলাকা শোভনের শ্বশুরবাড়ির এলাকা বলে পরিচিত। কারণ শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাবা হলেন মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, দুলাল দাসের পৃষ্ঠপোষকতায় আজকের গেরুয়া শিবিরের প্রচার পর্ব ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই কথা মনে করছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজেও। এদিন বিক্ষোভ এবং কালো পতাকার মধ্যে দিয়ে রোড শো শেষ করলেও মহেশতলার পুরনো ডাকঘর এলাকায় জনসভা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে। সেখানেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তৃণমূলের লাল বাতি জ্বলে গেছে। তবে এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় রোড শো থেকে শুরু করে সভামঞ্চ পর্যন্ত সর্বত্র দুলাল দাস সম্পর্কে একের পর এক আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক দুলাল দাস তাঁর প্রাপ্য টাকা এখনো পর্যন্ত দেননি। অন্যদিকে এদিন মহেশতলায় শোভন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, যত দিন যাচ্ছে ততই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের টানাপোড়েন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিন শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রচারে আসা যথেষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আর সে কারণেই তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় শোভন-বৈশাখী বিজেপির প্রচারপর্বেই যে ধাক্কা খেলেন সেকথা অনস্বীকার্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!