সব বিতর্ক ঝেড়ে বিজেপিতে নতুন করে শুরু হচ্ছে শোভন-বৈশাখী অধ্যায়? সোমবারেই চূড়ান্ত ডেডলাইন? কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও রাজনৈতিক শিরোনামে থেকেছেন। গত লোকসভা নির্বাচনের পরেই তাঁরা যোগ দেন যুগলে গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু ঢক্কানিনাদ সহযোগে বিজেপিতে যোগ দিলেও দীর্ঘ দেড় বছর যাবত তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকেন। এরই মধ্যে বিজেপির তাবড় নেতারা শোভন, বৈশাখীর মান ভাঙানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু সে সময় কিছুই ফল দেয়নি। অবশেষে বহু চেষ্টার পর গত সোমবার শোভন বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বাইক র্যালির আয়োজন করা হয়। বলা হয়, এই মিছিলে অবশ্যই থাকবেন শোভন-বৈশাখী। আর তাঁদের সঙ্গে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে প্রতিবারের মতোই এই বাইক র্যালিতে যেতে অস্বীকার করেন শোভন-বৈশাখী। অবশ্য প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিছিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই শোভন এবং বৈশাখী মিছিলে উপস্থিত হননি। কিন্তু বেলা গড়াতে না গড়াতেই অন্য কারণ সামনে এলো। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন তাই যেতে পারেননি। এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ও অসুস্থতার কারণে মিছিলে যোগদান করেননি। অন্যদিকে কোন উপায় না দেখে মিছিলে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সঙ্গ দিতে নামতে হয় দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়কে। তবে একসময় শোভন-বৈশাখী গেরুয়া শিবিরকে আশাহত করলেও আগামী সোমবার আবারও বিজেপির উদ্যোগে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, দলের দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই মিছিল হবে। এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, গোলপার্ক থেকে মিছিল শুরু হবে এবং শেষ হবে সেলিমপুর জেলা বিজেপির দপ্তরে। এবং সেখানে শোভন বৈশাখীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য গত সোমবার মিছিল নিয়ে অন্য বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। মিছিলের রোডম্যাপ নিয়ে পুলিশের আপত্তিতে পরে তা পরিবর্তন হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে গত সোমবার শোভন-বৈশাখী কথার খেলাপ করায় স্বাভাবিক ভাবেই দলের অন্দরে শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে অনেক নেতাই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। অনেকেই শোভন-বৈশাখীকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের ছোট-বড় সমস্ত নেতাকে একসাথে নিয়ে লড়াই করার কথা বলেছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব শোভন-বৈশাখীকেও সক্রিয় করে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, শোভন-বৈশাখী যেভাবে প্রতিমুহূর্তে কথার খেলাপ করেন বা করেছেন অতীতেও। তাতে আগামী দিনেও শোভন-বৈশাখী কি যে দায়িত্ব নিয়ে সক্রিয়ভাবে দলের কাজ করবেন তা নিয়ে কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর সে কথা গেরুয়া শিবিরের একাংশও মেনে নিচ্ছেন। তবে নজরে এখন আগামী সোমবার শোভন-বৈশাখীর মিছিলে। আপাতত দেখার, গত সোমবারের মতন এ সোমবারেও কি শোভন-বৈশাখী বিজেপির মুখ পোড়ায় নাকি গেরুয়া শিবিরের তালে তাল মেলায়! আপনার মতামত জানান -