প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর 14 ই আগষ্টে ঘাসফুল শিবিরের কানন এবং তাঁর বান্ধবী এসে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর দীর্ঘ এতগুলি মাস চলে গেলেও গেরুয়া শিবিরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই গেরুয়া শিবিরে শোভন চট্টোপাধ্যায় জেদ ধরে রেখেছিলেন তাঁকে এবং বৈশাখীকে সমমর্যাদাসম্পন্ন পদ দিতে হবে বলে। এতদিনে শোভনের জেদের কাছে হার মেনেছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপিতে দেওয়া হয়েছে শোভন এবং বৈশাখীকে গুরুত্বপূর্ণ পদ। আর তারপরই রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া শিবিরের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় নামছেন শোভন এবং বৈশাখী। জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে শোভন-বৈশাখী হুড খোলা জিপে মিছিল করে আসতে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে বিরাট বাইক মিছিল ও থাকবে বলে জানা গেছে। আপাতত শোভন চট্টোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের কলকাতা জোনে নতুন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি বৈশাখী হয়েছেন সহ-পর্যবেক্ষক। আর তাই বিজেপির সদর দপ্তরে আসার প্রয়োজন পড়েছে তাঁদের। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এতদিন পর্যন্ত রাজনীতি থেকে দূরে সরেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপিতে অমিত শাহের নির্দেশে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে তাঁর মান ভাঙানো হয়। আর কথামতো শোভন চট্টোপাধ্যায়ও পাল্টা সক্রিয়ভাবে কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন।

আপাতত গেরুয়া শিবির এককালে তৃণমূলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষুব্ধ নেতাদের রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন যাবৎ শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজনীতি থেকে দূরে সরে থাকার কারণে তাঁর তৎপরতা কতদিন থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। আপাতত একদিকে যেমন শুভেন্দু অধিকারী শুরু করেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাক্রমণ, অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ও সেরকমই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে চড়া সুরে কথা বলবেন।