এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন-বৈশাখীকে আটকাতে সক্রিয় মমতার পুলিশ? জল মাপছে গেরুয়া শিবির

শোভন-বৈশাখীকে আটকাতে সক্রিয় মমতার পুলিশ? জল মাপছে গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একে রামে রক্ষা নেই, তার ওপরে আবার সুগ্রীব দোসর। বাংলার এই বিখ্যাত প্রবাদ প্রবচন এখন যেন বাস্তব হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। এমনিতেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন‌। আর এই পরিস্থিতিতে বহুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও বসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার বিজেপির হয়ে তারা প্রথম ময়দানে নামতে চলেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।

কিন্তু মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে যখন কার্যত হিমশিম খাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তখনই সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে তাদের অস্বস্তি না বাড়ায়, তার জন্য এবার কি সেই শোভনবাবুর কর্মসূচিতে অনুমতি দিল না পুলিশ! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বস্তুত, সোমবার খিদিরপুর থেকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একটি বাইক রালি করার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় লালবাজারের পক্ষ থেকে এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। যার ফলে বিজেপির পক্ষ থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই মিছিল হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

বস্তুত, সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা সতীর্থকে কলকাতা এলাকার দায়িত্ব দিয়েছে গেরুয়া শিবির‌। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় যখন তৃণমূলের ঘরে ভাঙ্গন ধরাতে শুরু করেছেন, তখন কলকাতা এলাকায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির।

আর শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে বাইক রালি করার কর্মসূচি ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু লালবাজারের তরফ থেকে আগের দিনই এই কর্মসূচির ব্যাপারে কোনো অনুমতি না দেওয়ায় এখন বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের আচরণ নিয়ে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। আর বিজেপি এই কর্মসূচি করতে চাইলেও, যেভাবে তাতে বাধা দেওয়া হল, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তাই জোর করে বাইক বা গাড়ি নিয়ে মিছিল করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন এই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনা বুঝিয়ে দিল তৃণমূল গণতন্ত্রে কতটা আস্থা রাখে।” স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়তে শুরু করবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই বিজেপি তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিতে নীরবে-নিভৃতে বসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সামনে নির্বাচনের আগে তাদের সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলস্বরূপ সোমবার বাইক রালিতে এই দুই নেত্রীকে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু যেভাবে লালবাজারের পক্ষ থেকে আগেই তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা।

একাংশের দাবি, আসলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত নেতা যদি ময়দানে নামেন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের অস্বস্তি আরও বাড়তে শুরু করবে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিকে আটকানোর জন্য লালবাজারের পক্ষ থেকে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল বলে দাবি সমালোচক মহলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, বিজেপি এই কর্মসূচি নিয়ে কি পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!