এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভনের তৃণমূলে ‘কামব্যাক’ ঠেকাতে কাঁটা কারা? স্পষ্ট করলেন ‘বান্ধবী’ বৈশাখী!

শোভনের তৃণমূলে ‘কামব্যাক’ ঠেকাতে কাঁটা কারা? স্পষ্ট করলেন ‘বান্ধবী’ বৈশাখী!


শোভন চট্টোপাধ্যায় আবারও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন। সম্প্রতি ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তিনি ভাইফোঁটা নেন। তাঁর সাথে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে সেসময় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। লোকসভা ভোটের পর রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শোভন-বৈশাখী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেখানেও তাল কাটে। ফলস্বরূপ, ভাইফোঁটার দিন শোভনের কামব্যাক শুরু হয়। তবে রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, শোভনের কামব্যাক নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে অন্য সুর।

শোনা যাচ্ছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস যাতে ফিরতে না পারে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করছে তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। গত শুক্রবার বিকাশ ভবনে বৈশাখী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দেন। আর সেই বৈঠকেই বৈশাখী রত্নার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে শোনা গেছে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নিতান্তই অফিসিয়াল কাজের জন্যই তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাই রাজনীতি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরত সংক্রান্ত সাংবাদিকদের বক্তব‍্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত দায়ভার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখী জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন। এ ব্যাপারে বৈশাখী কিছু জানেন না। এর সাথেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিপূর্বে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। তাই কি হবে তা ভবিষ্যৎ বলবে বলে উক্তি করেছেন তিনি।

তবে রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে অন্য একটি খবর। সূত্রের মাধ‍্যমে জানা গেছে ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ী থেকে ফিরে শোভন চট্টোপাধ্যায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ করেন। যাতে শোভন চট্টোপাধ্যায় রত্না চট্টোপাধ্যায়কে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন করেন।

এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পেয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান এবং সমস্ত মেসেজ দেখান এরপর মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষুব্ধ হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন এবং এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তরফ থেকে বলা হয় তিনি কোন মেসেজ করেন নি।

তবে এখনো পর্যন্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে শাসক মহলের কেউ কোনো বিবৃতি দেননি। অন্যদিকে, শোভন-বৈশাখী বা রত্নার কাছ থেকেও এরকম কোন খবর সংবাদমাধ্যমে আসেনি। কিন্তু ভাইফোঁটার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণের যে কিছু বদল এসেছে তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। ভাইফোঁটার অব্যবহিত পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ফেরত দেওয়া হয়। এর ফলে জল্পনা আরও বাড়ে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!