প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই দলের কোর কমিটি এবং মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আর তারপর থেকেই তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও এবার শোকজের চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

স্বাভাবিক ভাবেই তার এই মন্তব্যে ঘাসফুল শিবিরের নীতি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি মুখেই তৃণমূল শোকজ করার কথা বলেছে? এখনও পর্যন্ত তার কাছে এই ব্যাপারে কোনো চিঠি পৌঁছয়নি! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বলা বাহুল্য, দলের বেশ কিছু নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কিছুদিন আগেই হুগলি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি এবং মুখপাত্র পদ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন তৃনমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

পাশাপাশি দলে প্রকৃত ব্যক্তিরা সম্মান পাচ্ছেন না বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। তবে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন প্রবীরবাবু। তবে দলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বেসুরো মন্তব্য করার জন্য তাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শোকজ করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি সেই চিঠি পাননি বলে এবার নিজের দলের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল বলেন, “আমি খবরে শুনেছি যে, আমাকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু আমি এই ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। কে বা কারা চিঠি পাঠিয়েছে আমি জানি না। যদি দল আমাকে কোনো চিঠি পাঠায়, তাহলে তার জবাব আমি কড়া ভাষায় দেব।” বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবীর ঘোষালের এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে, দলের সঙ্গে তার দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। অর্থাৎ দলের পক্ষ থেকে শোকজের চিঠি পাঠানো হলে তিনি যে তার পাল্টা জবাব দিয়ে দেবেন, তা বুঝিয়ে দিলেন প্রবীরবাবু।

যার ফলে একাংশ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার মত কোনো সম্ভাবনা প্রবীর ঘোষালের। এক্ষেত্রে অন্তত এতদিন ধরে তাকে নিয়ে দলবদলের যে জল্পনা চলছিল, এদিন তার এই ধরনের মন্তব্যের পর সেই জল্পনা আরও তীব্র হল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনও পর্যন্ত অবশ্য দল পরিবর্তনের কোনো কথা বলতে চাননি এই তৃণমূল বিধায়ক।

কিন্তু মুখ খুললেই যেভাবে দলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার মত মন্তব্য শোনা যাচ্ছে তার গলায়, তাতে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে জল্পনার সৃষ্টি করছে গোটা রাজ্য জুড়ে। সব মিলিয়ে শোকজের চিঠি তিনি এখনও হাতে পাননি বলে শাসকদলের বিড়ম্বনা দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। এখন এই ব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।