এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ‘শ্রী সিমেন্ট’-এর সাহায্যে কোন লক্ষ্মী লাভের দিকে এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?

‘শ্রী সিমেন্ট’-এর সাহায্যে কোন লক্ষ্মী লাভের দিকে এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে শ্রী লাভ হলে সব পাওয়া যায়। যেকোনো কাজের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শ্রী বৃদ্ধি করা। আর সেই শ্রী বৃদ্ধি করতে যৎপরণাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। কোয়েস চলে যাওয়ার পর নতুন ইনভেস্টরদের আশায় হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন তারা। এবার সম্ভবত সেই কাজ হয়ে গেছে বলা যেতে পারে। এভাবেই কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরের শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের কোম্পানির সঙ্গেও কথা বার্তা চালিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।

তবে তাদের বদলে শ্রী সিমেন্টকেই নিজেদের পছন্দ বলে মনে করছেন ক্লাবের কর্তারা। শ্রী সিমেন্ট উত্তর ভারতের অন্যতম বৃহত্তম সিমেন্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানি যা ১৯৭৯ সালে রাজস্থানের আজমির জেলা বেওয়ারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এটি শ্রী পাওয়ার ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং শ্রী মেগা পাওয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে এদের দুটি ব্যবসাও আছে। বর্তমানে কলকাতার এদের সদর দফতরটি অবস্থিত।

তবে এক্ষেত্রে খেলার কথা দেখতে গেলে ক্লাব কর্তারা চান যেহেতু ইনভেস্টর দেখাতে না পারলে, এফএসডিএলও আইএসএল খেলা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়, তাই আগে ‘শ্রী সিমেন্ট’ ইনভেস্টর হিসেবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হোক, তারপর এফএসডিএলও আইএসএল খেলা নিয়ে কথা বলবেন তারা। আর যেহেতু ‘শ্রী সিমেন্টের’ কর্ণধাররা কলকাতাতে থাকেন, তাই ‘ইস্টবেঙ্গল’ এই নিয়ে বা বাঙালির ফুটবলের আবেগটার সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত।

ফলে একটা আশার জায়গা হল ইনভেস্টর পাওয়ার পর যদি ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলার সুযোগ পায়, তবে খেলার জন্য যে পরিমাণ অর্থ লাগবে তা দিতে রাজি হয়েছে ‘শ্রী সিমেন্ট’। তবে যদি মরশুম শেষ হয়ে যায় তবে আই লিগ খেলার মত খরচ করবে তারা। এছাড়াও এফএসডিএলের সঙ্গে পরের মরশুমের আইএসএল খেলার জন্যও তারা কথা বলবে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হল, এই ইনভেস্টর ফুটবলের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট-সহ ক্লাবের সব স্বত্ত্বও নিজের করে নিয়ে নিতে চাইছে। ফলে সিএবিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন ‘শ্রী সিমেন্টের’ কেউ, সেখানে ক্লাবের কর্তারা থাকতে পারবেন না। আগে কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের অভিজ্ঞতা থেকে তারা তাই এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না বলেই জানা গেছে। ব্যাপারটা হল, জার্সির রঙ, লোগো এসব নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও শ্রী সিমেন্ট চাইছে চুক্তির পর ক্লাবের যাবতীয় কার্যকলাপ সব তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে।

এর মধ্যে একদিকে রয়েছে সমর্থকদের তরফে আইএসএল খেলার চাপ। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে আর কোনও ইনভেস্টর পাওয়া যাবে বলে আশা নেই। ফলে এটাই সম্ভবত বুঝে ‘শ্রী সিমেন্টের’ প্রস্তাবে রাজি হতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তবে এই চুক্তির সঙ্গে ক্রিকেটের স্বত্ত্ব ছেড়ে দেওয়াটা বড় ব্যাপার হবে না।

তবে শেষমেশ জানা গেছে, এই বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই কথা হয়ে গেছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, ৭৬ ভাগ শেয়ার দেওয়া হবে শ্রী সিমেন্টকে আর অন্যদিকে ক্লাবের হাতে থাকবে ২৪ শতাংশ শেয়ার। তবে সব কিছু মিটে গিয়েও আটকে রয়েছে ক্রিকেট। সেই মত শ্রী সিমেন্টের কর্ণধারদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার এবং সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় আলোচনায় বসেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে এর চূড়ান্ত ফলাফল কিছুদিনের মধ্যেই ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন ক্লাব কর্তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!