প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দলে থেকেও বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ করছে, সেই অভিযোগেই কার্যত সীলমোহর দিয়েছেন ত্রিপুরার হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। এমনিতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং তার প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল সুদীপবাবুর। মাঝেমধ্যেই তার বিস্ফোরক মন্তব্য চাপে রাখতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর বর্তমানে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে ত্রিপুরাতে সন্ত্রাস হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই সেই সন্ত্রাসের ব্যাপারে মুখ খুলে নিজের দলকেই চাপের মুখে ফেলে দিলেন সুদীপ রায় বর্মন।

রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রিপুরার বিজেপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই পৌরসভা নির্বাচনের আগে দলের ভেতরে থেকে প্রকাশ্যে এই ধরনের দল বিরোধী মন্তব্য হজম করতে পারছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। যার জেরে এবার সুদীপ রায় বর্মনের মত হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা বিজেপি ব্যবস্থা নিতে পারে বলে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন সুদীপ রায় বর্মন। যেখানে পৌরসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার সন্ত্রাস নিয়ে নিজের দল এবং প্রশাসনকেই চাপের মুখে ফেলে দেন তিনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যেখানে গোটা বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই ব্যাপারে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আজকে দুই জন বিধায়ক যেভাবে কথা বলছেন এবং ওনাদের সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হওয়ার পর মুহূর্তেই যেভাবে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা একযোগে ওনাকে সমর্থন করতে শুরু করেছেন, তা সকলে দেখেছেন। যদিও ত্রিপুরাবাসী এই ধরনের বিষয় দেখে অভ্যস্ত রয়েছেন। দল প্রতিনিয়ত বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। পৌরসভা নির্বাচনের পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরা বিজেপি মুখপাত্রের এই মন্তব্যের পরেই মনে করা হচ্ছে যে, পৌরসভা নির্বাচনের পরেই সুদীপ রায় বর্মনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার জেরে অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন যে, সুদীপ রায় বর্মন হয়ত বা ইচ্ছাকৃতভাবেই তার দলের বিরুদ্ধে এই রকম মন্তব্য করছেন। যাতে দল তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আর তিনি শিবির পরিবর্তন করে যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যদিও বা সবটাই জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই পৌরসভা নির্বাচনের আগে সুদীপ রায় বর্মনের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।