এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামী বা দলবদলকারী নেতাদের কড়া শিক্ষা দিতে এবার সরকারী পদক্ষেপের পথে তৃণমূল!

শুভেন্দু অনুগামী বা দলবদলকারী নেতাদের কড়া শিক্ষা দিতে এবার সরকারী পদক্ষেপের পথে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ তৃণমূল দলে ভাঙন স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। একের পর এক নেতা, বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন গিয়ে বিরোধী শিবিরে। এই অবস্থায় ঘাসফুল শিবিরের সংগঠন যে ভেঙে পড়ার মুখে, সে কথা মোটেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে জনপ্রিয় জননেতা শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পর থেকেই তৃণমূল শিবির থেকে কিন্তু তাঁর অনুগামীদের এবার ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল দলের ভাঙ্গন প্রতিরোধ রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে খবর।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক এবং এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাথা থেকে দলবদলকারী নেতাদের এবার সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে এই নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর কথায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছেড়ে যারা বিজেপিতে গেছেন কিংবা আগামী দিনে যারা যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাঁদেরকেই সরিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কোলাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরীকে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সরকার মনোনীত ডিরেক্টর করে আনা হয়েছে।

পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এবার সরকার মনোনীত ডিরেক্টর নিয়োগ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট চারটি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক এবং দুটি এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়াও একাধিক আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক রয়েছে যার মাথা থেকে এবার দলবদলকারী নেতাদের সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে গোপাল মাইতি এবং মেঘনাদ পাল। এই দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যে মেঘনাদ পাল গিয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই এই দুই নেতাকে এবার সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে কাঁথি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক এবং কালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল অপারেটিভ ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান। সংখ্যাগরিষ্ঠ ডিরেক্টররা অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর বোর্ডের সভায় অনাস্থা পাশ হলে তবেই তাঁকে সরানো যাবে। তবে তার আগে বিভিন্ন ব্যাংকে সরকার মনোনীত ডিরেক্টর নিয়োগ করা হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন থাকলে সরকার মনোনীত ডিরেক্টর সব ধরনের কাজকর্ম করতে পারবেন।

গত সপ্তাহেই কোলাঘাটে প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরীকে এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সরকার মনোনীত ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করার পর থেকেই তড়িঘড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অনুগামী দুই নেতা। মনে করা হচ্ছে, দলবদলকারী নেতারা সরকারের এই পদক্ষেপ আটকাতে মরিয়া। এ প্রসঙ্গে মেঘনাদ পাল জানিয়েছেন, ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকার মনোনীত ডিরেক্টর নিয়োগ করার কোন নিয়ম নেই রাজ্য সরকারের। এদিকে হলদিয়া আরবান ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কো অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী।

যদিও তিনি শুভেন্দু অনুগামী বলেই পরিচিত জেলায়। তাই তাঁকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান হিসেবে যাতে তিনি কোন দায়িত্ব পালন না করেন। যদিও আনন্দময় অধিকারী জানিয়েছেন, অনেক ডিরেক্টরই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব স্বাভাবিকভাবেই দলবদলের কারণে তাঁদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কারণ শুভেন্দু অনুগামী বা দলবদলকারী নেতাদের না সরালে দলে ভুল বার্তা যাবার পাশাপাশি দলের ভাঙন যে আরও চওরা হবে সেকথা স্পষ্ট। বিধানসভা নির্বাচন সামনে আসতেই এবার সংগঠন দৃঢ় করতে তোড়জোড় করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সেই সূত্রেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!