এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনীতে ‘কলকাতার মানুষের কথায় চলব না’ স্পষ্ট জানালেন হেভিওয়েট নেতা

শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনীতে ‘কলকাতার মানুষের কথায় চলব না’ স্পষ্ট জানালেন হেভিওয়েট নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজনৈতিক মহলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চলছে জোরদার চর্চা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে বেশ কিছুটা দূরত্ব এসে গিয়েছে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর তা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যেভাবে রাজ্য সরকারের দূরত্ব বাড়ছে, ঠিক সেভাবেই শুভেন্দু অনুগামীদের সঙ্গেও কলকাতার নেতাদের দূরত্ব বেড়ে চলেছে। আর এবার কলকাতা নেতাদের কার্যত বাতিলের দলে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অনুগামীরা। পুরুলিয়ায় বিজয়া সম্মেলনে ঘোষণা শুভেন্দু অনুগামীদের- কলকাতার মানুষদের কথায় তাঁরা চলবেন না।

সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরে শুভেন্দু অনুগামীরা আয়োজন করেছিলেন বিজয়া সম্মিলনের। এই সম্মিলনীতে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি হাজির না হয়েও ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখেছেন। অন্যদিকে এলাকার বিশিষ্ট নেতারা অনেকেই কলকাতার নেতাদেরকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে। এদিন কলকাতার নেতা-মন্ত্রীদের শকুন হায়নার সঙ্গে তুলনা করে তাঁদের হাত থেকে পুরুলিয়াকে উদ্ধারের কথা বলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা। এদিন পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মেলন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, রঘুনাথপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা সহ জেলার শাসক দলের বহু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী। অন্যদিকে এই বিজয়া সম্মিলনীতে পুরুলিয়ার শুভেন্দু অনুগামীদের ব্যাপক ভিড় চোখে পড়লেও শাসক দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের কিন্তু দেখা যায়নি। এবং যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই বিজয়া সম্মেলনে শাসক দলের নেতাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জেলার বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো এদিন এমন একটি তথ্য তুলে ধরলেন, যা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সৃষ্টিধর মাহাতো অভিযোগ করেন, গত আড়াই বছর ধরে পুরুলিয়া অঞ্চলে কোনরকম উন্নয়ন হয়নি। হয়তো আংশিক কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে উন্নতির লেশমাত্র চোখে পড়েনি। আগামী 6 মাসের মধ্যে শাসকদলের অন্য গোষ্ঠীর হাত থেকে পুরুলিয়াকে উদ্ধার করা হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সৃষ্টিধর মাহাত এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কলকাতার মানুষদের কথায় তাঁরা চলবেন না। অন্যদিকে এই বিজয়া সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এবং তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিন্তু বলেন, সকলকে নিয়ে একসাথে চলতে। মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন এবং তিনি স্পষ্ট করেন, একসাথে সবাই মিলে এগোতে হবে।

এবং ভবিষ্যতে তিনি একসঙ্গেই থাকবেন, একই পরিবারের সদস্য হয়ে। পুরুলিয়া অঞ্চলের সাম্প্রতিককালে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মেলনীর পোস্টার পড়েছিল। গেরুয়া রং এর পোস্টার এবং আমন্ত্রণপত্রে রাজস্থানি পাগড়ি পরা শুভেন্দুর ছবি ঘিরে শুরু হয়েছিল ব্যাপক চাপানউতোর। অনেকেই দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী হয়তো এবার গেরুয়া শিবিরে পদার্পণ করবেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে কোন রকম বিবৃতি জারি করেননি। অন্যদিকে জঙ্গলমহলে কিন্তু প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের স্পষ্ট আভাস মিলল। লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের কর্তৃত্ব হারিয়েছে তৃণমূল শিবির।

এবং জঙ্গলমহল এলাকার দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু যেভাবে জঙ্গলমহলে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ পাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল তৃণমূল নেত্রী ফিরে পাবেন কিনা তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অনুগামীদের কলকাতার নেতাদের সঙ্গে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে দূরত্ব। কলকাতার নেতাদের কোনরকম নির্দেশ তাঁরা আর মানতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের গোড়া ক্রমশ ভেঙে পড়ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতির সুযোগ নেবে যে বিরোধীরা, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!