এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > শুধু ৪ মাহারথীতে থেমে থাকলে হবে না, ‘তুলতে হবে’ সব অভিযুক্তকেই! চান নারদের অন্যতম মামলাকারী

শুধু ৪ মাহারথীতে থেমে থাকলে হবে না, ‘তুলতে হবে’ সব অভিযুক্তকেই! চান নারদের অন্যতম মামলাকারী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বহুদিন আগে সামনে এসেছিল নারদ কান্ডের ভিডিও ফুটেজ। তারপর এই বিষয় নিয়ে বহু জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বারবার রাজ্য রাজনীতিতে নির্বাচনের সময় এই বিষয়ে উঠলেও, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তবে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠন হওয়ার সাথে সাথেই এই ব্যাপারে সক্রিয় হতে শুরু করেছে সিবিআই। সোমবার নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

বর্তমানে তাদের প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে। তবে চারজন হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করা হলেও, নারদ কান্ডে অনেক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী বা মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এই পরিস্থিতিতে চারজন হেভিওয়েটকে শুধু নয়, কেন বাকিদের গ্রেপ্তার করা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন নারদ কান্ডের অন্যতম জনস্বার্থ মামলাকারী বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। যেখানে সকলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চার্জশিট দেওয়া হোক বলে দাবি করতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে তার এই দাবি নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজ দেখা যাওয়া অন্যান্য নেতা এমনকি জনপ্রতিনিধিদের যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সারাদিন ধরে চলে নাটকীয় টানাপোড়েন। প্রথমে সন্ধ্যে নাগাদ খবর পাওয়া যায়, তাদেরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের পক্ষ থেকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। আর তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত সেই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হল।

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে এই চার হেভিওয়েটকে। তবে নারদ কান্ডে যেখানে একাধিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের ভিডিও ফুটেজ টাকা নিতে দেখা গেছে, সেখানে কেন শুধুমাত্র এই চারজনের উপর কোপ পড়বে, এখন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নারদ কান্ডের অন্যতম মামলাকারী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর মন্তব্য নিঃসন্দেহে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেন হেভিওয়েট এই কংগ্রেস নেতা। যেখানে তিনি লেখেন, “রাজ্য সরকার যদি ঠিকমত তদন্ত করত এবং ঠিক সময়ে এফআইআর করত, তবে আমাকে আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করার দরকার পড়ত না। অবাক হয়ে দেখলাম, কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে রাজ্য সরকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। একজন আবেদনকারী হিসেবে সঠিক বিচার আশা করব। একই সঙ্গে জন্য যাদের নাম এফআইআরে আছে তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই একইভাবে চার্জশিট দেবে, সেই আশা রাখছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে দেখা গিয়েছে। ফলে তাদেরকে কেন ডাকা হচ্ছে না? কেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সিবিআই! পাশাপাশি তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ তৃণমূলের আরও অনেক নেতা এবং সাংসদদেরও টাকা নিতে দেখা গেছে। ফলে তাদেরকে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ডাকা হয়নি।

আর এই প্রশ্ন যখন জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে, তখন নারদ কান্ডে অন্যতম মামলাকারী তথা কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে, তাদের কাউকেই যেন ছাড়া না হয়, তার জন্য সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করে বসলেন তিনি। যার ফলে ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া অন্যান্য নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের অস্বস্তি যে দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন মামলাকারীর এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই যদি নিজেদের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে, তাহলে অনেক রাঘববোয়ালের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!