এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুধু বিজেপি নয় একুশের মহাযুদ্ধে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে এবার মহা পরিকল্পনা সঙ্ঘের? জানুন বিস্তারে

শুধু বিজেপি নয় একুশের মহাযুদ্ধে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে এবার মহা পরিকল্পনা সঙ্ঘের? জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এর সুযোগ্য পুত্র ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর হাত ধরে দেশে জনসংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পূর্বতন এই জনসঙ্ঘ আজকের দিনে ভারতীয় জনতা পার্টির রূপ লাভ করেছে। আর এই ভারতীয় জনতা পার্টি সমস্ত দেশের সমস্ত হিন্দু সংগঠন বা হিন্দু দলের নয়ন মনি। তবে শ্যামাপ্রসাদের জন্মভিটাতেই বহুকাল পর্যন্ত প্রায় উপেক্ষিত ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি । কিন্তু দীর্ঘকাল পরিস্থিতি এক থাকেনা। দেশের রাজনৌতিক পরিস্থিতির পালাবদলের হাত ধরেই প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এই পশ্চিম বাংলার এই অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ভূমি মজবুত করতে এবার এগিয়ে এল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। পশ্চিম বাংলায় নিজেদের ভীত শক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ মূলত একটি হিন্দুত্ববাদী সামাজিক সংগঠন হলেও, রাজনীতির ক্ষেত্রে এর পরোক্ষ ভূমিকার কথা কখনোই অস্বীকার করা যায় না। বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের একটি বিরাট সাপ্লাই লাইন এই আরএসএস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এর স্বয়ং সেবক ছিলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের এতকাল পর্যন্ত আরএসএস সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি।কিন্তু এর কর্মকাণ্ড কিন্তু বাংলার বুকে বহুকাল ধরে চলে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মূল কেন্দ্র কেশব ভবন কলকাতায় অবস্থিত। এখান থেকেই সংঘের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। কিন্তু এতোকাল কেশব ভবন সাংবাদিকদের কাছে যেন একপ্রকার উপেক্ষিতই ছিল। কারণ তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোন ঘটনা বা গুরুত্বপূর্ণ খবর না থাকায় সাংবাদিকদের সেখানে তেমন একটা দেখতে পাওয়া যেত না।

কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেকটা বদল করেছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এখানে একে একে যেমন কেশব ভবনে রাজনীতিবিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সাংবাদিকদের আনাগোনাও । আর এই সঠিক সময়ে কাজে লাগিয়ে করতে ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারা’র মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে আরএসএস।

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নিজেদের ভিত্তি মজবুত করতে আরএসএস এর কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গ্রামে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে একদিকে যেমন সচেষ্ট হয়েছেন। অন্যদিকে তেমনিই পশ্চিম বঙ্গের শহর গুলিতে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গের মূল আইটি সেক্টর কলকাতার সেক্টর ফাইভে একের পর এক সেমিনারের আয়োজন করছেন আরএসএসের বিভিন্ন শাখা সংগঠন এর কর্মকর্তারা। আর এভাবেই সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিজ দলভুক্ত করার প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করেছে এই সংগঠনটি।

জনগণকে নিজের দিকে আকর্ষণের পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএস পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত স্তরে নিজ শাখা – প্রশাখা বৃদ্ধির চলছে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আর তাদের এই প্রচেষ্টায় যথেষ্ট সাফল্য পাওয়া গেছে বলে, আরএসএসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরএসএসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএসের মোট ৮০০ টি পঞ্চায়েত শাখা ছিল, কিন্তু চলতি বছরে তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০০ হয়ে গিয়েছে। এভাবেই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে আরএসএস। আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এভাবেই নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে বিজেপির এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি।

পশ্চিম বাঙালির পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে গিয়ে গিয়ে সেখানে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন আরএসএস কর্মীরা। এই পণ্যগুলোর মধ্যে ফিনাইল থেকে শুরু করে ব্লিচিং পাউডার উৎপাদনেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৯ টি জেলায় তাদের ৩৮ টি হেল্প ডেস্ক চালু করেছে আরএসএস। এই হেল্প ডেস্ক গুলি নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি আরএসএস এভাবেই শহর, গ্রাম দুটি স্তরেই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষে এগিয়ে চলেছে। তাদের এই প্রচেষ্টায় তারা ধীরে ধীরে সফলতা লাভ করতেও শুরু করে দিয়েছে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!