এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শুধু দেশীয় গবেষণা নয়, করোনার টিকা পেতে মরিয়া মোদী সরকার এবার আমেরিকার সঙ্গে মেলাচ্ছে হাত?

শুধু দেশীয় গবেষণা নয়, করোনার টিকা পেতে মরিয়া মোদী সরকার এবার আমেরিকার সঙ্গে মেলাচ্ছে হাত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সারা বিশ্বজুড়ে করোনা মারাত্মক ত্রাস ছড়িয়েছে। প্রায় সমস্ত দেশই করোনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিষেধক ছাড়া এই মুহুর্তে করোনার হাত থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব নয়, সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়াও ইতিমধ্যে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে বলেই দাবি জানিয়েছে। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক চলছে এখনো। অন্যদিকে ভারতও পিছিয়ে নেই। দেশীয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরি চলছে।

তবে জানা গেছে, ভারত রাশিয়ার সাথে প্রতিষেধক আমদানি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এবার মার্কিন সংস্থা ফাইজারও ঘোষণা করেছে, তাঁরাও করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে চলেছে। সেই সূত্রে ভারত এবার এই মার্কিন সংস্থার সাথে আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এসেছে। আর এবার ফাইজারেরও ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় এই টিকা ভালো রেজাল্ট করেছে।

আর সেই সূত্রেই ভারত ফাইজারের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে আমদানির জন্য বলে জানা গিয়েছে। জার্মান বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োএনটেকের  সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরএনএ টেকনোলজিতে ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তৃতীয় ধাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ফাইজার। অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির কাছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রতিষেধকের ফলে সাধারণ মানুষের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা? যদি হয়, তাহলে তা কতদিন স্থায়ী হচ্ছে? ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে তবেই রেগুলেটরি কমিটি ছাড়পত্র দেবে বলে জানা গেছে। তবে এই অক্টোবরের মধ্যে প্রথম দফার ভ্যাকসিনের ডোজ চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে ফাইজার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বটে কিন্তু কোনো চুক্তি সম্পাদিত হয়নি এখনো পর্যন্ত।

অন্যদিকে জানা গেছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে দেশে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তবে সবকিছুর সাথে ভারত সরকার ফাইজারকেও ভারতের বাজারে আনতে চাইছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, উন্নত প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সাহায্যে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার যেরকম দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, তাতে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো জনবহুল দেশে প্রতিষেধক এর প্রয়োজন বিপুল হারে। আর সেক্ষেত্রে ভারত সরকার যত বেশি পরিমাণে প্রতিষেধক মজুত রাখা যায়, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!