এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > শূন্য হলেও সুর নরম নয়, মমতাকে কড়া আক্রমণ অধীরের, শোরগোল রাজ্যজুড়ে!

শূন্য হলেও সুর নরম নয়, মমতাকে কড়া আক্রমণ অধীরের, শোরগোল রাজ্যজুড়ে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিরোধী বলেই পরিচিত কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে শত বিরোধিতা করেও 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তারা মাথা তুলতে পারেনি। এক্ষেত্রে একটি আসনও দখল করতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস। আর তারপরই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তৃণমূলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হলে সেই কেন্দ্রে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে নিজের মত হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। স্বাভাবিকভাবেই তার মত কট্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী নেতার মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য সামনে আসার পরেই রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়।

তাহলে কি অধীরবাবু পরাজয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন! যা আগামীদিনে বঙ্গ রাজনীতিতে কিছুটা মাথা তুলতেই তার এই কৌশল বলে দাবি করতে শুরু করেন একাংশ। তবে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি যে বিন্দুমাত্র নরম মনোভাব পোষণ করেন না, তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যেখানে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ জারি হতেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন হাইকোর্টের পক্ষ থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি হতেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গোটা ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “কেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রুটিহীন ব্যবস্থা করে চাকরির বন্দোবস্ত করছেন না! অজুহাতের রাজ্যে আর কত দিন বেকার যুবকরা বঞ্চিত হবে? মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষক পদে 32 হাজার চাকরি হবে। সরকারি চাকরি, শিক্ষক নিয়োগের গল্প তো আগে থেকেই চলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, হাইকোর্ট দিচ্ছে না। তিনি আর কি করবেন! এটা হল অজুহাত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ অধীর চৌধুরী বুঝিয়ে দিলেন, গোটা প্রক্রিয়া খুব একটা স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়নি। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। যার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে কার্যত তৃণমূল সরকারকে আরও একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হওয়ার পর এবং রাজ্য বিধানসভায় কোনো প্রতিনিধি না পাঠানোয় কার্যত হতাশ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আর সেই পরিস্থিতিতে আগামী 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করার রাস্তা বেছে নেবে কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং প্রদেশ কংগ্রেস বলেই মনে করা হয়েছিল। সেই মত নির্বাচনের পরে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অধীর চৌধুরীর নরম মনোভাব কার্যত জল্পনা সৃষ্টি করে।

তবে তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী শক্তি হিসেবেই কাজ করে যাবেন, তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। এক্ষেত্রে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেও, সেই ব্যাপারে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হল। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই ব্যাপারেই কার্যত রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!