এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি চন্দননগর পুরসভা নির্বাচনের, তৃণমূল না বিজেপি কে রয়েছে এগিয়ে? জেনে নিন

শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি চন্দননগর পুরসভা নির্বাচনের, তৃণমূল না বিজেপি কে রয়েছে এগিয়ে? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কলকাতার পুরভোট মিটে গিয়েছে। হয়ে গেছে মেয়র পদের শপথগ্রহণ। আর এর মাঝেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে এবার রাজ্যজুড়ে পুরভোটের দিনক্ষণ। আর ঘোষণামাত্রই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে চন্দননগর পুরসভা। ইতিমধ্যেই সেখানে বিভিন্ন দেওয়ালে শুরু হয়ে গিয়েছে চুনকাম। এমনকি প্রতীকও আঁকা হয়ে গিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত চন্দননগর পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়নি। কার্যত চন্দননগর পুরসভার ক্ষেত্রে শাসকদল তৃণমূল বেশ কিছুটা নম্বর বাড়িয়ে রেখেছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার কারণ চন্দননগর গেলেই উন্নয়নের একটা ছবি চোখে পড়বে।

গঙ্গাপাড়ের শহর একেবারে সাজানো-গোছানো। কিছু জায়গা বাদ দিলে বাকি অংশে ঝকঝকে রাস্তা, বাঁধানো ফুটপাত, রাস্তার দু’ধারে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ। নিয়মিত পানীয় জল, সকাল হতেই নাগরিকদের বাড়ি জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি পৌঁছে যাওয়া এবং সবথেকে বড়, বর্ষাকালে রাস্তা ঘাটে জল না দাঁড়ানোটাই পরিষেবার দিক থেকে 100তে 100পেয়ে গেছে চন্দননগর পুরসভা। অন্যদিকে চন্দননগর পুরসভায় অনেকটাই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। লোকসভা ভোটের সময় একটা বিজেপি হাওয়া উঠেছিল বটে, কিন্তু বর্তমানে সেই হাওয়ার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই জনসংযোগ না থাকার ফলে। বরং সেক্ষেত্রে কিছুটা নিজেদের জায়গা তৈরি করছে বামফ্রন্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তৃণমূলের তালিকাতেও বেশকিছু নতুন মুখের সম্ভাবনা রয়েছে এবার। কার্যত স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন চন্দননগরের উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। আগামী 22 শে জানুয়ারি চন্দননগর পুরসভার নির্বাচন। কিন্তু 100তে 100পেয়ে এগিয়ে থাকলেও তৃণমূল শিবিরেও অস্বস্তি রয়েছে। এবং তা হল মাঝপথে চন্দননগর পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়া। কার্যত শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে 2018 সালের আগস্ট মাসে পুরবোর্ড ভেঙে যায় চন্দননগরে। এবং তারপর ভেঙে যাওয়া বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী এবং একাধিক মেয়র পারিষদ নিয়ে পুরসভার পরিচালন কমিটি তৈরি হয়।

অন্যদিকে প্রশাসক মন্ডলী নিয়ে জনমানসে খুব একটা ছাপ ফেলা যায়নি। এবার তাই মনে করা হচ্ছে, গত বারের ভোটে জেতা বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর হয়তো টিকিট নাও পেতে পারেন। প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে নতুনদের। সবমিলিয়ে চন্দননগর পুরসভায় উন্নয়নই যে শেষ কথা বলবে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুর নির্বাচনের আগেই তৃণমুলকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ জয়ী হিসেবে দেখছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!