এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু-গড়ে দ্বন্দ্ব ভুলে এক হওয়ার আহ্বান অভিষেক দূতের, আরোগ্য কামনায় মহাযজ্ঞ অনুগামীদের!

শুভেন্দু-গড়ে দ্বন্দ্ব ভুলে এক হওয়ার আহ্বান অভিষেক দূতের, আরোগ্য কামনায় মহাযজ্ঞ অনুগামীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলে ঠিকমতো গুরুত্ব না পাওয়ার কারণে সরকারি কর্মসূচি থেকে শুরু করে দলের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে না পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাট তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। দীর্ঘদিন ধরেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে, দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের জেরে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। তাই সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের যে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছিল, সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন তার অনুগামীরা।

কিন্তু সেখানেও তাকে তেমন কোনো দায়িত্বে রাখা হয়নি। উল্টে যে সমস্ত জেলায় তিনি পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছেটে ফেলেছে বলে দাবি করছেন তার অনুগামীরা। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর নিজের মত করে পথচলা তৃণমূলের সেই গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে কার্যত নীরব অবস্থায় রয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী।

কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। দ্রুত যাতে তাদের প্রিয় নেতা সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাঁর জন্য শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করতে শুরু করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটিতে পা রেখে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। যাকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। হঠাৎ করেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘাঁটিতে উপস্থিত হয়ে কেন এই বার্তা দিতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূতকে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এদিন খড়্গপুরে রামমন্দিরের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোহমবাবু বলেন, “আমরা যদি একত্রিত হয়ে থাকতে পারি, একে অপরের হাত ধরে থাকতে পারি, এক সঙ্গে চলতে পারি, তাহলে দিলীপ ঘোষ তো কোন ছার! নরেন্দ্র মোদি এলেও শূন্য হাতে ফিরতে হবে।শুধু আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সোহম চক্রবর্তীর এই বার্তাকে কেন্দ্র করে এবার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, অভিষেকবাবু এবার শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটিতেও নাক গলাতে উদ্যোগী হলেন। তাই নিজের দূতকে পাঠিয়ে দিয়ে সভার মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে চলতে হবে। তাহলে কি পরোক্ষে নিজের দূত সোহম চক্রবর্তীকে দিয়ে এই বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

জানা যায়, এদিন সোহম চক্রবর্তীর এই অনুষ্ঠানে প্রায় 1500 বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন‌। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে এই যোগদান কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের কোনো কর্মী তৃণমূলে যোগ দেননি। শুনেছি, যারা গিয়েছেন, তারা বিভিন্ন দলের হয়ে ভাড়া খাটেন।” এদিকে সোহম চক্রবর্তী যখন সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখনই শুভেন্দু অধিকারীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় জামবনি এবং ঘাটালে তার অনুগামীরা পুজো করতে শুরু করেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঘাটালের সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, “শুভেন্দুবাবুর আরোগ্য কামনা করে এদিন বরোদা বিশালাক্ষী মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকশো মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন নানা মহলে জল্পনা চলছে, ঠিক তখনই সকলকে এক হওয়া হয়ে চলার বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোহম চক্রবর্তীকে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে দাবি করছেন একাংশ। এখন সুস্থ হয়ে ওঠার পর শুভেন্দুবাবুর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!