প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলেলেগেছে ভাঙন। আর বড়োসড়ো ভাঙনের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই। শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের যাওয়ার পরেই সেখানকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেছেন। রাজ্যজুড়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আজ গিয়েছিলেন হুগলীতে আর সেখান থেকেই ঘোষণা হুগলীকে 18-0 করার।

পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আজকে শুভেন্দু গিয়েছিলেন হুগলীর গুড়াপে এবং সেখান থেকেই হুগলি জেলার বিধানসভা নির্বাচনের আসন নির্ধারিত করে ফেললেন তিনি। এদিন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন, হুগলিতে এবার 18-0 ফলাফল হবে। আজ হুগলির সভায় মধ্যমণি ছিলেন বিজেপির জোড়া মাণিক শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর সাথে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

একদিকে যেমন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে মমতা ব্যানার্জির অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে, ঠিক সেরকমই শুভেন্দু অধিকারী চালিয়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া ভাষায় আক্রমণ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্যের ভোট নিয়েো যথেষ্ট কড়া মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি, এ রাজ্যে ভোট লুট হয় বর্তমানে। সে ব্যাপারে বলে শুভেন্দু বিজেপি কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী গুড়াপের সভায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজ ভাইপো বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিহিত করে আরও একজন তোলাবাজের কথা বলেছেন, তবে তিনি কে সে কথা স্পষ্ট করেননি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভার নির্বাচন যে এই মুহূর্তে তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে কথা স্পষ্ট। বাংলার মসনদ দখল করবে কে, তা নিয়ে চলছে জোরদার লড়াই। অপেক্ষা শুধু ভোটের দিন ঘোষণার।