এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শুভেন্দুর খাসতালুকে ভল্ট ভেঙে চুরি গেল ৪ লক্ষ টাকা! শুরু তীব্র শোরগোল, জানুন বিস্তারিতভাবে

শুভেন্দুর খাসতালুকে ভল্ট ভেঙে চুরি গেল ৪ লক্ষ টাকা! শুরু তীব্র শোরগোল, জানুন বিস্তারিতভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কিছুদিন আগে একটি ব্যাঙ্কে ছোট ছেলের হাতে ১০ লক্ষ টাকা চুরি হওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছিল। সেই ঘটনা দেখে অবাক হয়ে থাকলে এবারেও আপনার অবাক হওয়ার বাকি আছে। কারণ আবারও সেই ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এবারে কোনো ছোট ছেলে সেটি করেনি। কয়েকজন দুষ্কৃতীর দ্বারাই এমন কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চন্দননগর-আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির অফিসে। সেখানে ভল্ট ভেঙে নগদ ৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকা এবং বেশকিছু নথিপত্র চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। অনুমান করা হচ্ছে, গ্রিলের ও কাঠের দরজার তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা হয়ত ভিতরে ঢোকে। সমবায় সমিতির ভিতর যে ভল্ট রয়েছে, সেখানে নগদ টাকা ছিল। ভল্ট খুলে প্রথমে নগদ টাকা চুরি করা হয়েছে। পরে বেশ কিছু কাগজপত্র খোয়া গিয়েছে বলেও জানা গেছে। ইতিমধ্যে উক্ত সমিতির সম্পাদক নন্দীগ্রাম থানায় ঘটনাটি সম্পর্কে অভিযোগ করার পর পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এই সমবায় সমিতির প্রায় এক হাজার গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের সেভিংস অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এছাড়া সমিতি থেকে চাষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোন দেওয়া এবং সংগ্রহ করার কাজ হয়। পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, ওই সমবায় সমিতি থেকে প্রায় প্রতিদিনই কালেকশন হওয়া টাকা তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখায় জমা রাখা হয়। তবে ঘটনার সময় এক সপ্তাহের টাকা রাখা ছিল। ঘটনার তিনদিন আগে তিন লক্ষ টাকা জমা দিতে গিয়েও সমবায় সমিতির দু’জন সেই টাকা ফিরিয়ে আনেন। আর এই ঘটনাতেই পুলিশের মনে সন্দেহ বেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সমিতির সম্পাদকের কথায়, সাধারণত প্রতিদিন ওই সমিতি থেকে টাকা সংগ্রহ করার পর নন্দীগ্রামে ব্যাঙ্কে তা জমা রাখা হয়। কিন্তু, চুরির ঘটনার আগে প্রায় এক সপ্তাহ সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা করা হয়নি। তাই ভল্টে চার লক্ষেরও বেশি টাকা ছিল। সাধারণত, ভল্টে এত টাকা থাকে না। তাই সেটা হয়ত কেউ কোনোভাবে জানতে পেরেছিল।

তাছাড়া ঘটনার তিনদিন আগে সমিতির অফিসের দুজন কর্তা ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে গিয়েও সেটা জমা করেননি। সম্পাদক নাকি বিষয়টি সময়মতো জানতেন না বলেই দাবি করেছেন। পরে ঘটনা জানলে বোর্ডের জরুরি সভা ডেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাঁদের মতে সমিতির কোনো লোক এরসঙ্গে জড়িত থাকলেও থাকতে পারে। তবে পুলিশ এর তদন্ত করলেও কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!