এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শ্যাম রাখি, না কুল? বাংলায় দুই হেভিওয়েটকে নিয়ে চরম আতান্তরে বিজেপি? সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা

শ্যাম রাখি, না কুল? বাংলায় দুই হেভিওয়েটকে নিয়ে চরম আতান্তরে বিজেপি? সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিজেপি। এজন্য চেষ্টার কোনো কসুর রাখেনি, সমস্ত রকম ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাজে লাগানো হয়েছিল, এমনকি বিজেপির ৪ জন সাংসদকেও নির্বাচনের প্রার্থী করা হয়েছিল। ৪ সাংসদের মধ্যে দুজন জয়ী হয়েছেন। সাংসদদের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী করায়, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল। নির্বাচনে জয়লাভের পর গুরুত্বপূর্ণ সাংসদদের রাজ্যের মন্ত্রী করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। কিন্তু বিজেপির এই সিদ্ধান্ত এখন একেবারে বুমেরাং হয়ে দলের কাছে ফিরে এসেছে।

বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, ভালো রকম ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তিনি। অন্যদিকে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক দিনহাটা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, অল্প মার্জিনে জয়লাভ করেছেন তিনি। তবে পরাজিত হয়েছেন দুজন বিজেপি সাংসদ। যাদের মধ্যে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু দুই বিজয়ী সাংসদকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এদের বিধায়ক রাখা হবে? না সাংসদ রাখা হবে? তা নিয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিয়ম অনুযায়ী, কোন সাংসদকে যদি বিধায়ক করা হয়, তবে দুসপ্তাহের মধ্যে তাকে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে হবে। বিজেপির এই সাংসদকে যদি বিধায়ক করা হয়, তবে উপনির্বাচন হবে। আবার, তাঁরা যদি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন, তবে সেখানেও হবে উপনির্বাচনে। আর এই উপনির্বাচনে লড়াই করতে হবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিকে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে ব্যাকফুটে চলে গেছে, তাতে উপ নির্বাচনে আসন ধরে রাখা সহজ নয়।

লোকসভা আসন যদি বিজেপি ছেড়ে দেয়, সেক্ষেত্রে পুনর্নির্বাচন হবে। নির্বাচনে হেরে গেলে বিজেপি সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে গিয়ে ১৬ তে পৌঁছবে। আবার বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেও উপনির্বাচনের সামনে পড়তে হবে। এই দুই কেন্দ্রে হেরে গেলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে ৭৫ এ পৌঁছে যাবে। ফলে রাজ্যে আরো বিপাকে পড়বে গেরুয়া শিবির।

তাই সমস্ত কিছু চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ নিতে চায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু হাতে সময় রয়েছে মাত্র ৬ মাস। ছ মাসের মধ্যে যদি তাঁরা বিধায়ক হিসেবে যোগদান না করেন, তবে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে হবে উপনির্বাচন। তাই, শেষ পর্যন্ত বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে বিজেপি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে, জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!