এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়ে ক্রমশ দলের অন্দরে বিস্ফোরক হচ্ছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী

শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়ে ক্রমশ দলের অন্দরে বিস্ফোরক হচ্ছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী


এমনিতে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ দীর্ঘ এবং মধুর। সেই নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় থেকে দুজনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই শুরু, আর তারপরে ২০১৬ এর কঠিন লড়াইয়ে তৃণমূলের টিকিটে প্রথমে মঙ্গলকোটের বিধায়ক আর তারপরে একেবারে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী। কিন্তু সেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী একেবারে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন দলের অন্দরে থেকেই, যা নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সিদ্দিকুল্লা সাহেব এমন কিছু প্রশ্ন প্রকাশ্যেই তুলে দিয়েছেন, যেখানে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট, এমনকি সামনে ভেসে উঠেছে বেশ কিছু অনভিপ্রেত সমীকরণও। সিদ্দিকুল্লা সাহেবের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ত্বটা শুরু হয়েছিল সঙ্ঘ-বিজেপির সঙ্গে সমান তালে তৃণমূলের রামনবমী পালন করা নিয়ে। আর এবার পঞ্চায়েতের টিকিট বন্টন ও গা-জারি নিয়ে তিনি কার্যত বোমা ফাটালেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আর এই নিয়ে নিজের প্রতিবাদ জানাতে প্রথমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন দলের সভাপতি সুব্রত বক্সিকে, কিছু সমাধান না পেয়ে সরাসরি ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত, এমনকি তিনি সরকারি গাড়ি এবং মন্ত্রী হিসেবে পাওয়া তিন জন নিরাপত্তারক্ষীও ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিবাদ জানাতে। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ না থাকলে ইতিহাসের গতি যে অন্য রকম হতেই পারত, শাসক দলের নেতৃত্ব তা যেন মনে রাখেন! উন্নয়নের কাজ যা হয়েছে এবং বিরোধীদের যা হাল, তার সুবাদে তৃণমূল পঞ্চায়েতে এমনিতেই জিতত। মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে এই অশান্তির কী দরকার ছিল? ঘটনা যা ঘটছে, তাতে বাংলায় বিজেপির জমিই শক্তি হচ্ছে! সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে এই পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়। মঙ্গলকোট অঞ্চলে আমার লোকজনের জন্য ৩৪ টি আসনের দাবি ছিল। আমার হাতে প্রতীক বিলির ‘ফর্ম বি’-ও দিয়েছিলেন তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তার পরেও আমাদের কাউকে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। এর চেয়ে বলে দিতে পারত, আমাদের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না! আর প্রকাশ্যে সিদ্দিকুল্লা সাহেবের এহেন বিস্ফোরণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল, এখন দেখার বর্ষীয়ান এই নেতাকে কিভাবে শান্ত করেন শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!