প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর বিভিন্ন ফেসবুক লাইভ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তার বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিজেপির বিড়ম্বনা বেড়েছে। আর এবার সেই সৌমিত্র খাঁ তার একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দিলেন তিন দলীয় সদস্যকে।

যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে। মূলত, রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্ত নেন। যেখানে মৌসুমী সাহা নামে এক মহিলাকে রাজ্য যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। আর তারপরেই তার বিরোধিতা শুরু করেন একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই যারা বিরোধিতা করেছেন, তাদের একাংশকে সৌমিত্র খাঁ যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দিলেন, তাতে তার এই একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

সূত্রের খবর, এদিন সৌমিত্র খাঁ মৌসুমী সাহাকে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক করার কথা ঘোষণা করেন। আর তারপরেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। যেখানে বনশ্রী মন্ডল নামে যুব মোর্চার এক সদস্য মৌসুমীদেবীর পদ পাওয়ার তীব্র বিরোধিতা করতে শুরু করেন। পাশাপাশি পুরনো মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ঝিলম ব্যানার্জি নামে আরও এক ব্যক্তি। আর এরপরই গ্রুপে থাকা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এক ব্যক্তিকে বলেন, তাকে যেন সেই গ্রুপের এডমিন করা হয়।

আর তারপরেই সৌমিত্রবাবুকে এডমিন করার সাথে সাথেই তিনি তিনজনকে সেই গ্রুপ থেকে বের করে দেন। অর্থাৎ যারা তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে গ্রুপের মধ্যে প্রতিবাদ করেছেন, তাদেরকে সেই গ্রুপ থেকে বের করে দিয়ে সৌমিত্রবাবু নিজের অবস্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করে দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এভাবে একতরফা নিজের অবস্থানের বিরোধিতা করার কারণে যেভাবে তিন সদস্যকে গ্রুপ থেকে বের করে দিলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি, তাতে তার এই উদ্যোগ নিয়েও যে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনেকে বলছেন, এর ফলে আরও বিতর্কের মুখে পড়ে যাবেন সৌমিত্রবাবু। কিছুদিন আগেই তিনি ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে তিনি অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মূল নেতৃত্বের সঙ্গে তার দূরত্ব যে অনেকটাই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর এই পরিস্থিতিতে তার একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় তিন ব্যক্তিকে যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দিলেন সৌমিত্রবাবু, তাতে তার বিরুদ্ধে এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বিতাড়িত হওয়া সেই তিন হেভিওয়েট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপে পড়ে যেতে পারেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।