এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অনলাইন বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি নতুন সমস্যা, সরকারের ঘুম ওড়াতে মাঠে নামছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন!

অনলাইন বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি নতুন সমস্যা, সরকারের ঘুম ওড়াতে মাঠে নামছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্য সরকারের শিক্ষা ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ২০১৪ সালে জেনারেল ট্রান্সফার কার্যকর হওয়ার পর দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি বলেই জানা গেছে। এখনও পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়নি৷ বস্তুত মিউচুয়াল বদলি নিয়ে বা স্পেশাল বদলির মাধ্যমে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির সুযোগ পেলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অতি সামান্য বলেই দাবি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে মিউচুয়াল বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা।

এক্ষেত্রে দুটি সমস্যার কথা সামনে এসেছে। প্রথমত জানা গেছে, এখন বদলি প্রক্রিয়া চলছে অনলাইনে। কিন্তু পোর্টাল খুললেই এই অপশন ‘মিস ম্যাচ’ দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ সেখানে দেখা গেছে যাঁরা পুরনো শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে নতুন শিক্ষকদের আপস বদলি সম্ভব নয়৷ আরও ভালো ভাবে বলতে গেলে, সেখানে  দেখা যাচ্ছে নতুন কোনও শিক্ষক নর্মাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পোস্টে সাধারণ বদলি পাবে না ।

পুরনো শিক্ষক-শিক্ষিকারা নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পোস্ট পাবেন না৷ নতুন পোর্টাল অনুযায়ী নর্মাল সেকশনের স্নাতকোত্তরদের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক সেকশনের স্নাতকোত্তরদের মধ্যে আপস বদলি সম্ভব নয় বা নিউ সেটআপ স্কুলের সেকন্ডারি শিক্ষকদের সঙ্গে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সেকন্ডারি শিক্ষকদের আপস বদলি করা যাবে না, এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

আসলে গোল বেঁধেছে অন্য জায়গায়। যেহেতু ২০১৬ সালের আগে স্নাতক জেনারেল, অনার্স এবং স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষকই মাধ্যমিকের সাধারণ শাখায় নিযুক্ত হতেন। আর সেখানে ব্যতিক্রম ছিল কেবল রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন, এডুকেশনের মতো বিষয়গুলি৷ তাই তখন একজন শিক্ষক অনার্স বা স্নাতকোত্তর হলেও ২০১৬-র আগে মাধ্যমিকে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, সেই একই বিষয়ে অন্য একজন ২০১৬-র পর উচ্চমাধ্যমিকে নিযুক্ত হয়েছেন৷ ফলত দু’জন শিক্ষককেই একই যোগাত্য থাকলেও শাখা বিভাজনের জন্য নয়া পোর্টালে আপস বদলি সম্ভব হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এতো গেলো একটি সমস্যা। অন্যদিকে, ২০১৬ সালের আগে নিউ সেট আপ জুনিয়র হাই স্কুলগুলিতেও নর্মাল সেকশন হিসাবেই শিক্ষকরা নিযুক্ত হতেন। সেই সময় আপার প্রাইমারি হিসাবে আলাদা কোনও সেকশন ছিল না বলেই জানা যায়। কিন্তু পরে শিক্ষক প্রোফাইলে নর্মাল সেকশনের কোনও অপশন না থাকায় ২০১৬ সালের আগে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা কাজে যোগ দিয়েছেন, সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমস্যায় পড়েছেন৷ এক্ষেত্রে তাঁরা সেকেন্ডারি সেকশন অর্থাৎ নবম-দশম শ্রেণীর স্কুল নিতে পারছেন না। কারণ তাঁদের স্কুলে অ্যাকাডেমিক সেকশন দেখাচ্ছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত।

অন্যদিকে আপার প্রাইমারি সেকশনের ক্ষেত্রেও সেই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ ওই সালে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা ২০১৬ সালের আগে নর্মাল সেকশন অর্থাৎ পঞ্চম-দশম শ্রেণীর স্কুলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে নতুন কার্যক্রমে নর্মাল সেকশনকে ভেঙে আপার ও সেকেন্ডারি সেকসন করা হয়৷ এর ফলে জুনিয়র হাই স্কুলের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা ট্রান্সফারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে জানা গেছে, এই সমস্যায় সমাধানে নেমে পড়েছেন শিক্ষক সংগঠন ‘অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যরা। তাঁদের পক্ষ থেকে শিক্ষা দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে অনলাইন বদলির ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক সেকশনের সমস্যা সমাধান করে সকলকে বদলির সুযোগ সহ অনলাইনে জেনারেল বদলি শুরু করা এবং আইওএসএমএস সাইটকে আরও সক্রিয় ও আধুনিকীকরণের দাবি করা হয়েছে বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, কমিশনার ও এসএসসি সেক্রেটারির কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বলেও তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!