শিক্ষক দিবসে রাজ্যের শিক্ষা ও শিক্ষকদের ‘ভয়ের’ পরিবেশ নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ! বাড়ল বিতর্ক রাজ্য September 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ লেগেই রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে দুজনেরই লক্ষ্য একুশের ভোট। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কেউই কাউকে সুযোগ পেলে ছোট করতে ছাড়ছেনা। সে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে অসমর্থ হওয়া নিয়ে হোক, কি সরকারি চাকরিতে নিয়োগের অপ্রতুলতা নিয়েই হোক। মোটামুটি বেশিরভাগ মানুষের ভাবনা অপরকে ছোট করতে পারলেই হয়তো নিজেদেরকে একটা ভালো জায়গায় বসিয়ে দেওয়া যাবে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি প্রায়ই সুযোগ পেলেই দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গেছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের দুরবস্থা, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এমনই বহু বিষয়ে মতান্তরের কথা। তবে এদিন রাজ্যের শিক্ষার মান ঠিক কতটা বা রাজ্যে শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বাধীনতা কতটা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের নিয়ে নানা জায়গায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছুই ভার্চুয়াল হয়ে পড়েছে। তাই এবছর শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে ভার্চুয়ালি। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এহেন আক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন বাকি রাজনৈতিক দলের মতোই বিজেপির শিক্ষা সেলেও ভার্চুয়ালি পালিত হয়েছে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান। আর সেখানেই বর্তমান শাসকদলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের অবস্থা অত্যন্ত করুন, চাকরি পেতে তাদেরকে ধরনা দিতে হয়। এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েও তারা চাকরি পান না। প্রতিক্ষেত্রে মামলা করে, ধরনা দিয়ে তাদেরকে নিজেদের পাওনাটা আদায় করতে কার্যত আন্দোলন করতে হয়। উল্টে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতে হয়। তাদেরকে পশুর সঙ্গেও তুলনা করা হয়। শিক্ষকতা করার মত এমন একটা কাজের জন্য কেন মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে! তার উত্তর চেয়েছেন তিনি বর্তমান সরকারের কাছেই। এছাড়াও কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের ক্ষমতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সেদিন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনগড়ের অভিযোগকে সামনে এনে তিনি বলেন উপাচার্যরা রাজ্য সরকারের কথা মত চলে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল। নেতাদের মন জুগিয়ে না চললে উপাচার্যরা কাজ করতে পারেন না। উপাচার্যদের যে নিজস্ব কোন স্বাধীনতা নেই, তাদেরকে চাকরি বাঁচাতে যে বারবার ধর্নায় বসতে হয় একথা তিনি অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে বেসরকারি স্কুলের বাড়তি খরচ, সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া, পড়াশুনার মান কমে যাওয়া, এসবের প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে তাঁর মতে রাজ্য সরকার চাইলেই এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। রাজ্য সরকার চাইছে না বলেই যে যার মত আস্ফালন দেখতে পারছে। তবে যদিও আপাতত শাসকদলের তরফ থেকে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তবুও বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথার কি জবাব দেয় তৃণমূল সেটাই দেখার অপেক্ষা। আপনার মতামত জানান -