এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > লকডাউনে বাড়িতে বসে বাড়ছে ওজন? জলের সঙ্গে সামান্য উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই হয়ে যান ফিট

লকডাউনে বাড়িতে বসে বাড়ছে ওজন? জলের সঙ্গে সামান্য উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই হয়ে যান ফিট


বিশ্বের সর্বত্র এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি মানুষ আতঙ্কিত। আর আতঙ্কের আরেক নাম দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারতেও করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করেছে। অবস্থা আয়ত্তে আনতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়ে শুরু করেছেন লকডাউন। ফলে মানুষ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে ঘরবন্দী। অনেকেরই প্রতিদিনের অভ্যাস ছিল জিমে যাওয়ার। লকডাউন এর প্রভাবে আপাতত জিম করাও বন্ধ।

অতএব অনেকেরই মনে চিন্তা জেগেছে, লকডাউন মেটার পড়ে নিজেদের চেহারা পাল্টে যাবে। ফলে অনেকেই লকডাউন এর মধ্যেও ওজন ঝরানোর কারণে নিজেদের বেঁধে ফেলেছেন নির্দিষ্ট ডায়েটে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়তি ওজন নিয়ে ভাবার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এর উপায় আছে। আর তা হলো ডিটক্স ওয়াটার। ডিটক্স ওয়াটারের গুণাগুণ প্রচুর। একদিকে যেমন এই ডিটক্স ওয়াটার শরীরের মেদ ঝরায়, পাশাপাশি ত্বকের জেল্লাও বাড়ায়। খুব সহজেই এই ডিটক্স ওয়াটার বাড়িতেও বানিয়ে ফেলা যায়।

অনেকেই আছেন, যারা গোটা ফল চিবিয়ে খেতে পারেন না কিংবা সেই সময় নেই তাঁদের হাতে। তাঁরাও নিশ্চিন্তে এই ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে ফেলতে পারেন বাড়িতেই। ডিটক্স ওয়াটার কিভাবে বানাবেন, তার জন্য পাঁচ রকমের রেসিপি দেওয়া রইল। ফলের ডিটক্স ওয়াটার বানাতে গেলে লাগবে পাতিলেবু, কমলালেবু, স্লাইস করে কাটা শসা, আদা কুচি, পুদিনাপাতা এবং যে কোনো রকমের মিন্ট পাতা। এই ডিটক্স ওয়াটার তৈরী করতে প্রয়োজন একটি বড় কাঁচের বোতল। তার মধ্যে জল দিয়ে উপরোক্ত সমস্ত উপকরণ দিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এবং সকালে বার করে সারাদিন ধরে এই জল একটু একটু খেলেই পরিবর্তন খুব অল্পদিনেই চোখে পড়বে।

এছাড়াও ডেলি ক্লেনজিং ডিটক্স ওয়াটার বানানো যায় বাড়িতেই খুব সহজে। এর জন্য প্রয়োজন এক থেকে দু লিটার বরফ ঠাণ্ডা জল। তার সাথে তরমুজ ও শসার স্লাইস, মুসুম্বি বা পাতিলেবু একটা, পুদিনা পাতা 10 থেকে 13 টা। একইভাবে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে সারা দিন ধরে খেলে দেখা যাবে শরীরের দূষিত টক্সিন একেবারে বেরিয়ে গেছে এবং হজমশক্তিও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফলস্বরূপ ফিট অ্যান্ড ফাইন খুব সহজেই থাকা যাবে। লকডাউনের মধ্যেই বানিয়ে নেওয়া যায় কিউমিন ডিটক্স ওয়াটার। এই ডিটক্স ওয়াটার বানাতে গেলে একটা প্রয়োজনীয় উপকরণ হচ্ছে জিরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, জিরে মেটাবলিজম বাড়াতে খুব সাহায্য করে এবং যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁরা এতদিনে জানেন নিশ্চয়ই শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে অবশ্যই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এইটা বানাতে গেলে প্রয়োজন 1 চা-চামচ সাদা জিরা, আধা চা চামচ মধু, দের কাপ জল। প্রথমেই ওভেনে একটা পাত্র বসিয়ে তাতে 1 চা-চামচ সাদা জিরা দিতে হবে। কম আঁচে পাঁচ-ছ সেকেন্ড রেখে পরিমাণ মত মধু এবং জল দিতে হবে। আঁচ নিভিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হলে জলটা ছেঁকে খেয়ে নিতে হবে। এটি যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই আপনার শারীরিক গঠন অবশ্যই আপনার মনের মতন হবে।

আরেকটি খুব প্রয়োজনীয় হল ডিটক্স হলদি টি। এর জন্য লাগবে আধ চা চামচ হলুদ ও আদাকুচি, 1 চিমটি গোল মরিচ, 1 চা চামচ মধু এবং দু কাপ জল। খুব কম সময়ে এটি বানানো যাবে। প্রথমেই ওভেনে জল বসিয়ে তাতে পরিমাণমত আদা ও হলুদ দিন। দু-তিন মিনিট ফুটে উঠলে বন্ধ করে মধু ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে কাপে ঢেলে খেয়ে নিন। এটিও খুব উপকারী বলে পরিচিত। এছাড়া কোকোনাট ওয়াটার উইথ লেমন এন্ড মিন্ট ওয়াটারটিও খুব উপকারী।

নামটি শুনতে যেরকম ভালো, এই ওয়াটার খেতেও সেরকমই ভালো। প্রয়োজন পড়বে একটি নারকেল, পুদিনা পাতা, এক চা চামচ মধু, একটা পাতি লেবু। প্রথমেই নারকেল ফাটিয়ে তার জল বের করে নিতে হবে। এরপর নারকেল কুরিয়ে নিতে হ.। কুরানো নারকেল এবং তার জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস, পুদিনা পাতা, মধু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটিকে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে যদি খাওয়া যায়, তাহলে তার মতন উপকারী আর কিছুই হবে না।

বলাইবাহুল্য, এটি স্বাদেও অতুলনীয় হবে। অতএব উপরিউক্ত পাঁচ রকমের ডিটক্স ওয়াটার এর যেকোনো একটিকে যদি বেছে নেওয়া যায় বা পাঁচটিকেই যদি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের শরীর ফিট এন্ড ফাইন থাকবে। এবং ওজন নিয়েও চিন্তার দিন শেষ হবে। বসে থাকার ফলে হজম শক্তির যে সমস্যা হচ্ছে বলে অনেকেই দাবি করছেন ইদানীং, তাঁরাও উপরিউক্ত ডিটক্স ওয়াটারগুলি চেষ্টা করলে দেখা যাবে হজমের গন্ডগোল একেবারেই ভ্যানিশ। অতএব দেরি না করে কাল থেকেই শুরু করা যাক এই ডিটক্স ওয়াটার বানানো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!