এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিঙ্গুরের জন্য ঝড় তুলতে গিয়ে সিঙ্গুরের মন কি আদৌ পেল রাজ্য বামফ্রন্ট?

সিঙ্গুরের জন্য ঝড় তুলতে গিয়ে সিঙ্গুরের মন কি আদৌ পেল রাজ্য বামফ্রন্ট?

সময় এই বাংলায় সিঙ্গুর থেকেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিচ্ছুক কৃষকদের কৃষি জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ায় তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ উগরে দিয়ে গোটা রাজ্যে এই সিঙ্গুর আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এরপরই গত 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাম সরকারকে।

পালাবদলে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃনমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপর থেকেই রাজ্যের একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের হারানো ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে এবার নিচুতলার কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য সেই সিঙ্গুর থেকেই এক মিছিলের আয়োজন করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন। জানা গেছে, সিঙ্গুর থেকে শুরু এই মিছিল শেষ হবে রাজভবনে।

এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিঙ্গুরের রতনপুরের মোড়ের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বামেদের পক্ষ থেকে একটি মঞ্চ বাধা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় কৃষক সভার সম্পাদক হান্নান মোল্লা, হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক ভক্তরাম পান, ক্ষেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, অমিয় পাত্র সহ অন্যান্যরা। কিন্তু ঠিক কী কারণে এদিনের এই সভা?

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের হান্নান মোল্লা বলেন, “সিঙ্গুরের শিল্প শ্মশান থেকে আমরা রাজ্যে শিল্প করার দাবি জানাতেই এই পদযাত্রার উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি চাষীদের ন্যায্য দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামছি।”

রাজনৈতিকভাবে নিজেদের উত্থান দেখার জন্য সিপিএমের পক্ষ থেকে এহেন মিছিলের বা পদযাত্রার আয়োজন করা হলেও এদিন তা কার্যত ফ্লপ শোতেই পরিণত হয়। সুরের অনিচ্ছুক চাষিরা এদিন সিপিএমের এই মিছিলে উপস্থিত না হলেও ইচ্ছুক চাষীরাও তেমনভাবে এই মিছিলে উপস্থিত হয়ে সাড়া দেন

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের আগে সিঙ্গুর থেকে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে চাঙ্গা করতে সিপিএমের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা গোড়াতে অনেকটাই ধাক্কা খেল। যদিও বা সিপিএমের পক্ষ থেকে এহেন কোনোরূপ দাবি মানতে নারাজ নেতৃত্বরা। তবে নেতারা যাই বলুন না কেন সিপিএমের সমাবেশের ইফেক্ট ঠিক কতটা লোকসভা ভোটে পরে এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!