এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্য সরকার কি ভুলে গেল সিঙ্গুরকে? তীব্র অভিমানে ফুঁসছে জমি আন্দোলনের আতুরঘর

রাজ্য সরকার কি ভুলে গেল সিঙ্গুরকে? তীব্র অভিমানে ফুঁসছে জমি আন্দোলনের আতুরঘর


রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকটাই সাহায্য করেছিল সিঙ্গুর। শিল্প গড়ার নামে অনিচ্ছুক চাষীদের কাছ থেকে বলপূর্বক কৃষিজমি নেওয়ায় তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে এই সিঙ্গুরের কৃষকদের নিয়ে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরই 2011 সালে রাজ্যে বাম সরকারের বিদায় জানিয়ে ক্ষমতায় বসে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই ক্ষমতায় বসে জমির বদলে সরকারি চেক নিতে অনিচ্ছুক এমন 3600 পরিবারের জন্য 2013 সাল থেকে মাসে 2 হাজার টাকা এবং পরিবার পিছু দুই টাকা কেজি দরে 16 কেজি করে চাল দেওয়া শুরু করে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল।

এদিকে 2016 সালে সেই অনিচ্ছুক চাষীদের জমি ফেরতের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই জমি চাষ যোগ্য করে কৃষকদের ফেরত দেওয়ার কাজ শুরু করে প্রশাসনও। বর্তমানে যখন সেই কৃষি জমিকে চাষযোগ্য করার প্রক্রিয়া চলছে ঠিক তখনই সরকারের তরফে গত 2013 সাল থেকে টাকা ও চাল মিললেও এবার সেই সিঙ্গুরের কৃষকদের কাছে তা প্রায় আসছে না বললেই চলে। আর উৎসবের মরশুমে এইভাবে সরকারী সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রবল বিপাকে পড়েছেন এখানকার কৃষকেরা।

সংসার কিভাবে চালাবেন তা ভেবে না পেয়ে এদিন কার্যত নিজের ক্ষোভ উগরে দেযন এই সিঙ্গুরের খাসেরভেড়ির কৃষক মধুসূদন বারুই। তিনি বলেন, “চাষ থেকে তো কোনো আয় হচ্ছেই না, উপরন্ত সরকার যে চাল ও টাকা পাঠাতো এখন সেটাও আর পাচ্ছি না। ফলে উৎসবের মরশুমে কি করে চলব কিছুই জানি না।” এদিকে এইভাবে কৃষকদের স্কার্ট সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুরো বিষয়টি সরকারকে দেখতে আর্জি জানিয়েছেন একসময় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা বর্তমানে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দুধকুমার ধাড়া। পাল্টা এই ব্যাপারে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় সিপিএম ও বিজেপি নেতারা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উপর ভরসা করে এখানকার কৃষকদের ডুবতে হয়েছে বলে দাবি তাদের। কিন্তু হঠাৎ করে কেন সরকারের সাহায্য বন্ধ হয়ে গেল?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। চাষীদের সাথে কথা বলে প্রশাসনের কাছে পুরো ব্যাপারটি জানতে চাইবো।” অন্যদিকে চাষীদের এই সাহায্য বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে এদিন হুগলির জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, ” কারও কোনো সাহায্য বন্ধ হয়নি। ব্যাংকের কারণে টাকা পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। পুরো বিষয়টি দেখছি।” সব মিলিয়ে জমি হারানো মানুষগুলো আবার কবে সরকারের দেওয়া চাল এবং টাকা পান এখন তারই আশায় দিন গুনছেন এখানকার অনিচ্ছুক চাষিরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!