এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > হাওড়া-হুগলি > ফের সিঙ্গুর নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে,চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের

ফের সিঙ্গুর নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে,চাপ বাড়ছে রাজ্য সরকারের


সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনকারী চাষীদের সুরাহা আজও হল না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত দুবছর আগে চাষীদের জমি ফেরতের নির্দেশ দিলেও এখনো জমি হাতে পাননি চাষীরা। ২০০৬ সালে বাম জামানায় টাটা ন্যানো কারখানার জন্য সিঙ্গুরের প্রায় ৯৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। তারপরই বামসরকারের বিরুদ্ধে আমরণ প্রতিবাদ, আন্দোলন, অনশন করে চাষীদের জমি আন্দোলন সার্থক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে চাষীদের জমি এবং কাগজপত্র তুলে দেন। ওই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করা হয় জমি আন্দোলন সফল হয়েছে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমরণ সংগ্রামের জন্যেই। এ জয় আসলে মা মাটি মানুষের সরকারের জয়।

কিন্তু ঘটনার ঠিক দু বছর পরই ছবি পাল্টে গিয়েছে অনেকটাই। সরকারের জমি ফেরত দেওয়ার পর প্রত্যেক চাষী তাঁদের প্রাপ্য জমি পাননি, এমনটাই অভিযোগ। ফসল চাষের মরশুমে যেখানে দিগন্ত বিস্তৃত সবুত ক্ষেত থাকার কথা,সেখানে শোভা পাচ্ছে কাশফুল। কংক্রিট এবং লোহার রডে আটকে পড়ে জমিগুলো নিষ্ফলা হয়ে পড়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি জমি মিউটেশন করতে গিয়েও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। গত বছর সরকার সর্ষে আলু চাষ করলেও অধিকাংশ জমিই চাষের অযোগ্য,এমনটাই অভিযোগ চাষীদের। চাষযোগ্য জমি ফেরত দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা সরকারের কাছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

চাষীদের এই অভিযোগকে মেনে নিয়েছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য। চাষীরা জমি ফেরত পেলেও চাষের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে বলেই জানালেন তিনি। তবে সরকারের এ ব্যাপারে সচেতনতা রয়েছে। তিনি আরো জানালেন,সরকারের তরফ থেকে মিনি ডিপ টিউবওয়েল করে জলসেচ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রান্তিক চাষীদের জমি নেওয়ার ব্যাপারে অনিচ্ছার অভিযোগ তুললেন। বললেন,তাঁদের কাছে জমি চাষের থেকে সরকারি সাহা্য্যের ২ হাজার টাকা এবং ১০ কিলো চালই অনেক বেশি ভালো। সিঙ্গুরের বিধায়কের যুক্তি, জমি আন্দোলনে মানুষেরই জয় হয়েছে আসলে। চাষীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!