এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রায় দেড় দশক পরে বৈরিতা ভুলে টাটাকে বড় বিনিয়োগে স্বাগত তৃণমূলের

সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রায় দেড় দশক পরে বৈরিতা ভুলে টাটাকে বড় বিনিয়োগে স্বাগত তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ৩৪ বছরের বামশাসনের অবসান ঘটেছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। গত, ২০০৬-০৭ সালে তৃণমূলের ব্যাপক আন্দোলনের ফলে বাংলা ছেড়ে গুজরাটের সানন্দে চলে গিয়েছিল টাটার ন্যানো কারখানা। এর প্রায় দেড় দশক পর এবার টাটাদের রাজ্যে বড় মাপের বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের গণ আন্দোলনকে পাথেয় করে রাজ্যের শাসন ক্ষমতার পালা বদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এবার তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পর টাটাদের রাজ্যে বড় বিনিয়োগের আহ্বান জানাল তৃণমূল সরকার। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, টাটাদের তাঁরা কোনো দোষ দেননি। তাঁদের কাছে সমস্যা ছিল বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণের নীতিকে কেন্দ্র করে। যে পদ্ধতিতে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, সেই পদ্ধতি সঠিক ছিল না। টাটাদের সঙ্গে তাঁদের কোনো শত্রুতা নেই। টাটাদের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনো লড়াই করেননি, টাটাদের দোষও তাঁরা কখনো দেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে টাটা। টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজ্যের আধিকারিকদের যোগাযোগ হচ্ছে। টাটার অনেক প্রকল্প রাজ্যে আছে। এরপরেও যদি রাজ্যে কোন বড় মাপের বিনিয়োগ করতে চায় টাটা, তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই। তিনি জানালেন টাটা গোষ্ঠী তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সেন্টার তৈরি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। আবার, রাজ্যে শিল্পের জন্য সংযোগ, পরিকাঠামো, আইন-শৃংখলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সেইসাথে দক্ষ ও সাশ্রয়ী শ্রমিক রাজ্যে রয়েছে।

তৃণমূলকে শিল্প বিরোধী বলে বিরোধীদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, তাই যদি হতো, তবে টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পারতো না তৃণমূল। তিনি জানান, একাধিক সংস্থাকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, কোন বড় শিল্পগোষ্ঠী রাজ্যে প্রাথমিক ভাবে দুটি বড় উৎপাদন কারখানা নির্মাণ করুক। টাটার বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই ছিল না। এই দেশে ও বিদেশের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হলো টাটা। মূল সমস্যা ছিল বামফ্রন্ট সরকার ও তাদের বলপূর্বক জমি অধিগ্রহণ নীতি। তাই এখন যদি টাটা গ্রুপ বাংলায় এসে বিনিয়োগ করতে চায়, তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!