এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিঙ্গুর ইস্যুতে বাম- তৃণমূলকে একযোগে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ

সিঙ্গুর ইস্যুতে বাম- তৃণমূলকে একযোগে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক দশক আগে সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা স্থাপনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল বাম সরকার। সে সময়ে বামেদের শ্লোগান ছিল, ” কৃষি আমাদের ভিত্তি, আর শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ।” সিঙ্গুরের চাষের জমিতে টাটার ন্যানো কারখানা স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আন্দোলনের ফলে সিঙ্গুরের কারখানা চলে গিয়েছিল গুজরাতে। এবার এই সিঙ্গুরেই শিল্প স্থাপনের বিশেষ উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি সহ বিরোধী মহল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মসনদে আহরণের পর সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর অনিচ্ছুক কৃষকের জমি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে শস্যদানা ছড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে সিঙ্গুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি সিঙ্গুরের মুখ্যমন্ত্রী যে অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণা করেছেন, তাকে ভোটের গিমিক বলেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, গুজরাটে গাড়ি তৈরি হচ্ছে, আর রাজ্যের মানুষ সেই গাড়িতে চড়ছে। কেউ যদি মনে করেন যে, সিঙ্গুরে কারখানা তৈরি হবে, তাহলে দিবা স্বপ্ন দেখছেন তিনি। আবার সিঙ্গুর প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের সবচেয়ে উর্বর জমি সিঙ্গুর আজ জঙ্গলে ভরে গেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতৃত্বের ভুল নীতির কারণেই সিঙ্গুরের আজ এমন অবস্থা।

সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানালেন যে, একসময় রাজনৈতিক কারণে সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানার বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে আন্দোলনে যোগদান করে তাঁরা ভুল করেছিলেন। সিঙ্গুরে যদি শিল্প হতো তাহলে আজ তাদের এমন অবস্থায় পড়তে হতো না। সিঙ্গুরে শিল্প না হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজের সন্ধানে যেতে হচ্ছে তাদের।

তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশ সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঘোষণার কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল সিঙ্গুর। আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর তেমন কোনো ভূমিকা গ্রহণ করতে করতে পারে কিনা? সে প্রশ্ন সকলের মনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!