এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের স্মৃতি ফিরে আসবে না তো দেউচায়? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও সংশয় গ্রামবাসীদের

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের স্মৃতি ফিরে আসবে না তো দেউচায়? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও সংশয় গ্রামবাসীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলার দেউচা পাচামিকে ঘিরে এক বড়োসড়ো প্রকল্প ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পতে কিভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হবে? সে বিষয়েও বিশেষ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মত জমি অধিগ্রহণ করা হবে না দেউচা পাচামিতে। এছাড়া প্রকল্পে যারা জমি দান করবেন, তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়া হবে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরেও যথেষ্ট রকম সংশয় রয়েছে গ্রামবাসীদের।

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেননি বহু মানুষ। দেউচা পাচামির ক্ষেত্রেও সেরকম ঘটনা ঘটবে না তো? এমন প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই। দেওয়ানগঞ্জের এক স্থানীয় বাসিন্দা এ প্রসঙ্গে জানালেন, দেউচা পাচামিকে ঘিরে যে প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, তা তারা টিভিতে দেখেছেন, খবরের কাগজে পড়েছেন, কিন্তু আসলে কি করা হবে? সে ব্যাপারে কোনো সরকারি আধিকারিক এসে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে শুনানি করা হোক। সেখানে গ্রামবাসীরা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার হরিণসিংহা গ্রামের নেতৃস্থানীয় এক ব্যক্তি জানালেন, শিল্প যদি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই ভালো হবে। কিন্তু জোর করে জমি কেড়ে নেওয়া, তারা কিছুতেই হতে দেবেন না। তারা কি কি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন? তাদের কি কি দেয়া হবে? কারা কারা চাকরি পাবেন? তা আগে নিশ্চিত করে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এরপরই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগোতে ইচ্ছুক তাঁরা।

এই গ্রামের অপর এক নেতা জানিয়েছেন যে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মত জোর করে জমি অধিগ্রহণ কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। পরিবারপিছু চাকরি বন্টন যা হবে, তা আগে নিশ্চিত করে বলতে হবে সরকারকে। যথাযথ ভাবে যেন মাঝি থান, যাহের থান করা হয়, সরকার এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলুক, এমনটাই চাইছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দেউচা পাচামির জন্য যে প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁর মূল লক্ষ্য হলো কয়লা উত্তোলন ও পাথর উত্তোলন। ঘোষণার পর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে লক্ষ রেখে সরকার রাস্তা সম্প্রসারণ ও রাস্তা মেরামতের জন্য টেন্ডার ডেকেছে, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। কিন্তু এতো সত্ত্বেও আশঙ্কা মিটছে না গ্রামবাসীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!