সিঙ্গুরে আরও প্রকট তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ব্যবসায়ীকে মারধর ও স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ কলকাতা রাজ্য হাওড়া-হুগলি September 8, 2019 একসময় বামেদেরকে সরাতে সিঙ্গুরই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান রাজনৈতিক অস্ত্র। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই সিঙ্গুরে নিজেদের মধ্যেই তীব্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এবার সিঙ্গুরের এক হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, এই ঘটনায় একদিকে যেমন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নাম জড়িয়েছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রহৃত ব্যাবসায়ী রবি রায় সিঙ্গুর থানায় তাঁকে মারধর ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। মারধরের ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজে উঠে যাওয়ায় সেটিও পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীর দাবি, ওই এলাকায় ব্যবসার কাজে যেতে এখন তাঁর আতঙ্ক হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রহৃত ব্যাবসায়ী রবি রায়ের সিঙ্গুরে হোটেল থাকলেও তার বাড়ি কোন্নগরে। পুলিশের কাছে তার করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কয়েকজন যুবক তাকে হোটেল থেকে ডেকে বার করে। তারা দাবি করে, স্থানীয় উপপ্রধান পারুলবালা দাসের লোক হিসাবে এলাকা দেখাশোনা করে। কিন্তু তাকে কেন ডাকা হল, তা জানতে চাইতেই সেই যুবকরা ব্যাবসায়ীকে বেদম প্রহার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে এই ঘটনার পর তার স্ত্রী সেখানে ছুটে এলে তারও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওই ব্যাবসায়ীর। কিন্তু কেন তার পরিচয় দিয়ে কোনো একজন হোটেলের ব্যবসায়ীকে এভাবে মারধর করা হল! এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় উপপ্রধান পারুলবালা দাস বলেন, “আমি কোনও লোককে কোনও হোটেলে পাঠাইনি। আমাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “পুলিস তদন্ত করে যদি আমাদের দলের কাউকে দোষী পায়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। আমি এটাই চাই।” তবে যে যাই বলুন না কেন যে ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে, সেই রবিবাবু জেলা তৃনমূলের এক নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু সেই নেতার ক্ষমতা বদলের পর তাঁরও ক্ষমতা খর্ব হয়। আর তার ফলেই তৃণমূলের নাম করে তাঁর উপরে হামলা তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাকেই আরও একবার সামনে এনে দিল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -