এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার! দুর্নীতিতে শাস্তি মানতে নারাজ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা

শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার! দুর্নীতিতে শাস্তি মানতে নারাজ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা


বহু আগে থেকেই বিরোধী দলের দাবি ছিল, শাসক দলের অন্দরে চরম দুর্নীতি চলে। সম্প্রতি আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়েও যে চরম দুর্নীতি চলেছে শাসকদলের অন্দরে, সে কথাও তুলে ধরে বিরোধীরা। এমনকি রেশনিং ব্যবস্থা দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যদিও তাই নিয়ে হইহল্লা কম হয়নি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, কিছু কিছু এমন ঘটনা সামনে আসছে, যাতে বোঝা যাচ্ছে বিরোধীদের দাবি কিন্তু প্রথম থেকেই ঠিক।

এরকমই আবার একটি দুর্নীতির ঘটনা ধরা পড়েছে চন্ডীতলা 2 ব্লকের গরলগাছা গ্রামে। সম্প্রতি চন্ডীতলা 2 ব্লকের গরলগাছা গ্রামের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নরেন্দ্রনাথ সিংহ আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্য জায়গায়। তাঁর নিজের বাড়ি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানা গেছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণের তালিকায় আবার নাম দেখা যাচ্ছে তাঁর স্ত্রীর। এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার কথা শ্রীরামপুরের সাংসদ সদস্য শ্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কানে ওঠে। তিনি হুগলি জেলার অন্যতম পরিদর্শক বলে পরিচিত।

তিনি সোজাসোজি দলের নেতা সুব্রত বক্সীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেন এবং জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে নির্দেশ দেন যাতে চন্ডীতলা 2 ব্লকের গরলগাছা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ পদত্যাগ করেন তা দেখতে। অন্যদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ওই প্রধান সাথে সাথে ক্ষতিপূরণের তালিকা থেকে তাঁর স্ত্রী সহ আরো 91 জনের নাম বাদ দিয়ে দেন এবং জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে নতুন তালিকা জমা দেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উক্ত তৃণমূল প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ বহুভাবে যুক্তি দেখিয়ে দাবি করছেন যে তিনি অন্যায় করেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কাজে-কর্মে কখনোই এটা প্রমাণ হচ্ছে না যে তাঁর উদ্দেশ্য ঠিক ছিল। তবে জেলা সঙ্গঠনের পরিদর্শক হিসাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর সংসদীয় এলাকার মধ্যে এ ধরনের ঘটনাকে তিনি কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। দুর্নীতির ঘটনা মাথাচাড়া দেওয়াতেই তিনি তৃণমূল প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহকে পদত্যাগ করতে বলেন বলে জানা গেছে। যদিও উক্ত প্রধান এখনো শীর্্যওহ্নেতৃত্বের কথা কানে তোলেননি বলেই মনে করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নরেন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এখনো পর্যন্ত দলগত কোনো নির্দেশ আসেনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেতা। তাই তাঁর নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন তিনি। তবে ওই প্রধান একথাও জানাতে ভোলেননি যে তিনি কোনো অনিয়ম ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। বরং যা হয়েছে তা তাড়াহুড়ো এবং কোন নিয়ম না জানার জন্যই হয়েছে। যদিও প্রধানের কথায় চিঁড়ে যে ভেজেনি, সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই বিরোধী শিবিরে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায়শই দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের কথা অনুযায়ী দুর্নীতি কোন না কোন আবে শাসকদলের অন্দর থেকে বেরিয়ে আসছে। অতএব নিজেদের পরিস্থিতি যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠিক করতে হয়, তাহলে অবিলম্বে এসব দুর্নীতিকে আটকানো দরকার। না হলে আগামী দিনে জনমানসে শাসকদলের বিরুদ্ধে যে কুপ্রভাব পড়বে, সে কথা চোখ বন্ধ করেও বলা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!