এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শীতলকুচির ঘটনায় ফেক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

শীতলকুচির ঘটনায় ফেক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত চতুর্থ দফার ভোটে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল যে জায়গাটির নাম, সেটি হল উত্তরবঙ্গের শীতলকুচি। চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় শীতলকুচিতে চারজনের মৃত্যু হয়। আর তাই নিয়েই রাজনীতিতে উঠেছে ঝড়। একের পর এক তর্ক-বিতর্ক চলছে এই নিয়ে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো যুক্তিযুক্ত প্রমাণ সামনে আসেনি। এই অবস্থায় গত শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন শীতলকুচির নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিলিগুড়িতে যাওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা করা হয় 72 ঘণ্টার জন্য শীতলকুচিতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রবেশ নিষেধ। সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বুধবার শেষ হচ্ছে। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেমন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। শনিবারের ঘটনার পর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যায় গ্রামবাসীরা ছুটছেন আর কেন্দ্রীয় বাহিনী ফায়ারিং করছে। এই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কিন্তু এই অবস্থায় হঠাৎ করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, যেখানে দাবি করা হয় সেটি শীতলকুচির ঘটনা। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েকশো মানুষ একটি বুথে ঢোকার চেষ্টা করছে সে সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবং এই ভিডিওটি পোস্ট করেন কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এই ভিডিও পোস্ট করার সাথে সাথে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও করেন চরম আক্রমণ। কিন্তু এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভিডিওটি আদৌ শীতলকুচির কিনা তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। ফেক ভিডিও শেয়ার করছেন রাজু বলে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে থাকেন। এই অবস্থায় কিছুক্ষণের মধ্যেই বিতর্কিত ভিডিওটি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সরিয়ে নেন। অন্যদিকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের প্রয়োজন বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। এব্যাপারে ফেক ভিডিও নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন মানুষকে। অন্যদিকে জানা গেছে, বুধবার শীতলকুচিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সেখানে যেতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে আহতদের দেখতে তিনি মাথাভাঙ্গা যাবেন এবং তারপর তিনি প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

অন্যদিকে শীতলকুচি নিয়ে ক্রমশ তৃণমূল বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর বেড়ে চলেছে। একদিকে যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্পূর্ণ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ঠিক সেভাবেই বিজেপির তরফ থেকেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য কার্যত একদিনের জন্য ব্যান করা হয়েছে মমতা ব্যানার্জ্জীকে। আপাতত এই ঘটনার পেছনে কে দায়ী, তার সত্যতা এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি। তবে এই ঘটনার রেশ যে বহুদূর যাবে, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!