এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শীতলকুচির ঘটনার নতুন মোড়, তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি

শীতলকুচির ঘটনার নতুন মোড়, তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। আর তারপরেই একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন তিনি। নবান্নে পা দেওয়া মাত্রই তিনি প্রশাসনিক রদবদল করলেন। পুরনো অফিসারদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে নিজেদের জায়গায়। আর এবার কথামতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচি ঘটনার দায়িত্বভার দিলেন সিআইডির হাতে। গত 10 এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে জোড়াপাটকিতে 126 নম্বর বুথে ব্যাপক গন্ডগোল হয় এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার সিআইডি তদন্ত হবে তাঁরা ক্ষমতায় এলে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং ঘটনার প্রকৃত সত্য সামনে তুলে আনার জন্য শীতলকুচি ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হল সিআইডির হাতে। ইতিমধ্যেই ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এই স্পেশাল টিম শীতলকুচি ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের শুরুতেই মাথাভাঙ্গা থানার তদন্তকারী অফিসার মলয় ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছে সিআইডির নেতৃত্বাধীন সিট। সূত্রের খবর, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকেও আগামী সপ্তাহে তলব করা হবে। অন্যদিকে জানা গেছে, শীতলকুচি ঘটনার পর মাথাভাঙ্গা থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয় এবং বলা হয়, বুথের বাইরে লোক জড়ো হওয়ার কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। পাল্টা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও গ্রামবাসীরা খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। আপাতত দু’টি মামলাকেই সিআইডি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। প্রয়োজনে সেইসময়ের কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তব্যরত জওয়ানদেরও ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব হাতে পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে প্রথমেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। একেবারে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। দেবাশীষ ধর নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

প্রসঙ্গত, শীতলকুচি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর রিপোর্ট দেন কমিশনে এবং বলেন, প্রায় 300 জন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে জওয়ানদের অস্ত্র ধরে টানাটানি করে। শূন্যে গুলি চালিয়েও তাঁদের আটকানো যায়নি। এরপরেই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দাবীর সূত্রে ভোটের প্রচারে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ছাপ্পা ভোটের মাস্টার প্ল্যান ছিল এটি তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে গেরুয়া শিবির যাই দাবি করুক না কেন, সমাজের অন্যান্য স্তর থেকে কিন্তু শীতলকুচি ঘটনার ব্যাপক প্রতিবাদ সামনে আসে। রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশের মতে, গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে শীতলকুচিও অন্যতম কারণ। আপাতত সিআইডির তদন্তে শীতলকুচির ঘটনায় নতুন কোন তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!