এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শীতলকুচির ঘটনায় সরাসরি বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগের আবেদন জানালেন তৃণমূল সুপ্রীমো

শীতলকুচির ঘটনায় সরাসরি বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগের আবেদন জানালেন তৃণমূল সুপ্রীমো


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চতুর্থ দফার ভোট সকাল থেকেই রক্তাক্ত হয়ে উঠলো। আজ দিনের শুরুতেই ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যু হল চারজনের। যাদের তৃণমূল কর্মী হিসেবে দাবি করেছে শাসক দল। এই ঘটনায় যথারীতি রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। রাজ্যের শাসক শিবির থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ষড়যন্ত্রকারী বলে অভিহিত করলেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শনিবার বনগাঁ দক্ষিণের নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই ঘটনার পেছনে যুক্ত থাকার অভিযোগে পদত্যাগ দাবি করলেন।

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাষায় জানালেন, কোচবিহারে যে চারজন তৃণমূল কর্মীদের মেরেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তার পেছনে ষড়যন্ত্র করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তাই তাঁর পদত্যাগ অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, আগামী রবিবার তিনি হাজির হবেন শীতলকুচিতে। ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে রবিবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কালো ব্যাজ পড়ে ব্লকে ব্লকে চলবে প্রতিবাদ। কালকে তৃণমূলের দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থকদের ধিক্কার মিছিল। শনিবার ভোট শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার জোরপাটকিতে সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে আরো চারজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এদিকে পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। একইসাথে তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর বৃদ্ধি পেয়েছে শীতলকুচির ঘটনাকে ঘিরে। একদিকে যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন, তেমনি শিলিগুড়ি থেকে নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এর দায় সরাসরি চাপিয়েছেন কার্যত শাসকদলের ঘরে। অন্যদিকে এই ঘটনায় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর জানিয়েছেন, ভোটের লাইনে এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় কয়েকজন চিকিৎসা চালাচ্ছিল, সে সময় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়েকজন জওয়ান।

ঠিক সেসময় সিআইএসএফ এর কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে গুজব ছড়ায়। মুহূর্তের মধ্যে অধিকাংশ গ্রামবাসী জওয়ানদের ঘিরে ধরে। আত্মরক্ষার জন্যই বাহিনী গুলি চালায়। একই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই শীতলকুচি বুথে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মৌখিকভাবে কড়া আক্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে যে আগামীদিনে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় তুলবে, তা বলাই বাহুল্য।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!