শীতলকুচির ঘটনাকে সামনে রেখে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন উত্তরবঙ্গ বিশেষ খবর রাজ্য April 13, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য জুড়ে চলছে বাংলা দখলের লড়াই। আর এই লড়াইতে প্রায় নিত্যদিন প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চতুর্থ দফার নির্বাচনে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। উত্তরবঙ্গের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে 4 জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজোড়া শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। একইসাথে নির্বাচন কমিশনকে নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিল সতর্কবার্তা। কমিশন থেকে জানানো হলো, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। শীতলকুচির ঘটনায় বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে বলে জবাবদিহি করা হয় কমিশনের কাছে। যদিও এই জবাবদিহির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপির নেতারা বিভিন্ন সময়ে গত কয়েকদিন যাবত যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনাকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপরন্তু শীতলকুচি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে, ফলস্বরূপ বিতর্ক আরও বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসাথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনো জওয়ান আহত না হওয়ায় জলঘোলা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাগাম টেনে ধরলো নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজ করতে হবে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের সাহায্য নিতে হবে তাঁদের। আর নির্বাচন কমিশনের এই সতর্কবার্তা থেকে অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন আসলে বিপদ ডেকে এনেছে নিজেরাই। মুখ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই নির্দেশ যদি আগে দিতো নির্বাচন কমিশন, তাহলে অন্তত শীতলকুচির ঘটনা ঘটতো না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক বার্তা দিলেও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কর্মসূচী রুখে দিয়েছে। আর তাই নিয়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনা। নির্বাচন কমিশনের দাবি, শীতলকুচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে অশান্তি ছড়িয়েছে। আর তাই নিয়েই গতকাল থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। আপনার মতামত জানান -