প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভায় গেলেও দলের নাম নিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। উল্টে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে “আমরা দাদার অনুগামী” বলে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এর পেছনে বিজেপি জড়িত।

অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে, আসলে তৃণমূলে অন্তর্দ্বন্দ্ব ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। তাই দলের বিক্ষোভ নেতাকর্মীরা এখন শুভেন্দুবাবুকে সামনে রেখে এই ধরনের প্রচার করতে ব্যস্ত। স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এই ধরনের পোস্টারকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি তরজা চরম আকার ধারণ করেছে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এদিন তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে দাদার অনুগামী পোস্টার ফেলছে বিজেপি।” আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই ব্যাপারে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি বলেন, “এভাবে পোস্টারের রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাস করে না। ফলে দাদার অনুগামী পোস্টার বিজেপি মারেনি। এই সমস্ত পোস্টার এনে শুভেন্দুকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল।” স্বাভাবিকভাবেই এতদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, সকলে সেই ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এবার তাকে কেন্দ্র করে যে পোস্টার পড়তে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়, তা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা কার্যত লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

একাংশ বলছেন, প্রথমদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের দাদার অনুগামী পোস্টটা পড়তে শুরু করেছিল পরবর্তীতে গোটা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সেই পোস্টটা পড়তে দেখা যায় এমনকি শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সবাই গিয়ে যেই সমস্ত বক্তব্য রাখছিলেন সেই সমস্ত বক্তব্যের একটি অংশই পোস্টারে ছেয়ে তার ছবি দেওয়া হয়েছিল। আর কিছুদিন আগেই খাস কলকাতাতেও এই পোস্টার পড়তে দেখা যায়।

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের নেতা যখন শুভেন্দু অধিকারী, তখন তৃণমূলের একাংশই তার অনুগামী হিসেবে এই ধরনের পোস্টার দিতে শুরু করেছে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়ে এবার গোটা ব্যাপারটি নিয়ে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপালেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে গোটা ঘটনার সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার কথা নয় শোধ করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।