এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভারতে অবস্থিত রয়েছে পাঁচটি এমন মন্দির, যার রহস্য ভেদ সম্ভব হয়নি আজও, জেনে নিন

ভারতে অবস্থিত রয়েছে পাঁচটি এমন মন্দির, যার রহস্য ভেদ সম্ভব হয়নি আজও, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মানুষের এতো গবেষণা, এতো পড়াশোনা, এতো বিদ্যা, এতো বুদ্ধি, তবু মানুষ তার নিজের এই গ্রহটিকে কতটুকু জানতে পেরেছে আজও। অজানার দুর্ভেদ্য অন্ধকারে আজও মানুষের অর্জিত জ্ঞান এতটুকু একটি আলোকবিন্দু সম। রহস্যের ধূসর চাদরে আজও ঢেকে আছে এই পৃথিবীর বুকে হাজার হাজার বছরের পুরোনো হাজার প্রশ্ন!
পৃথিবী তো অনেক বিশাল ব্যাপার, আমাদের ভারতবর্ষেই ছড়িয়ে রয়েছে কতো অমীমাংসিত রহস্য যার কূলকিনারা আজও করা সম্ভব হয় নি।

আসুন, ভারতেই অবস্থিত এমন কিছু অদ্ভুত রহস্যময় মন্দিরের সাথে আপনাদের আজ পরিচয় করিয়ে দিই।

১. কোনার্কের সূর্য মন্দির – কোনার্কের সূর্য মন্দিরের নাম কে না শুনেছেন! মন্দিরটি নির্মিত হয় ১২৫৫ খৃষ্টাব্দে। মন্দিরটি একটি রথের আদলে বানানো হয়েছিল যার ২৪টি চাকা আছে এবং যেটাকে সাত ঘোড়া মিলে টানছে৷ সপ্তদশ শতকে মন্দিরটির প্রায় অর্ধেক অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ধারণা করা হয়, মন্দিরটিতে ৫২ টন ওজনের বিশাল চুম্বক ছিল সেই সময়ে। এই চুম্বকের জন্যেই মন্দিরের ভেতর বিগ্রহটি শূন্যে ভাসমান থাকতো। মন্দিরের চাকাগুলি আসলে সূর্য-ঘড়ি। সেই চাকার স্পোকগুলির ছায়া থেকে নির্ভুল সময় মাপা যেতো। সেই সময় এই প্রযুক্তির ব্যাবহার কিভাবে করা সম্ভব হলো তার উত্তর আজও কারোর জানা নেই।

২. বৃহদেশ্বর মন্দির – ১০১০ খৃষ্টাব্দে স্থাপিত মন্দিরটি তানজোরে অবস্থিত। এটি ভারতের অন্যতম বৃহৎ মন্দির। আনুমানিক, ১৩০,০০০ গ্র্যানাইট পাথর লেগেছে মন্দিরটি নির্মাণ করতে। মন্দিরের চূড়ার যে ঘটের মতো দেখতে অংশটি রয়েছে তা একটি মাত্র পাথরের তৈরি যার ওজন ৮০ টন। মন্দিরটি মাটি থেকে ২১৬ ফিট লম্বা। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, আজ থেকে ১০০০ বছর আগে কী ভাবে শ্রমিকরা ৮০ টন ওজনের একটি পাথরকে মন্দিরের মাথায় তুলেছিলেন!আজও কারোর জানা নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৩. বীরভদ্র মন্দির – ১৫৩০ খৃষ্টাব্দে স্থাপিত এই মন্দিরটি ভারতের লেপাক্সিতে অবস্থিত। মোট ৭০টি থাম মন্দিরের ছাদটিকে ধরে রেখেছে। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কোনের একটি থাম মাটিকে স্পর্শ না করে ভাসমান অবস্থায় আছে। ১৯১০ সালে একজন বৃটিশ ইন্জিনিয়ার চেষ্টা করেছিলেন এই রহস্য ভেদ করতে। ছাদের অনেক ক্ষতি করেও তিনি থামটিকে মাটিতে স্পর্শ করাতে পারেন নি। তারপর, সেখানে একটি পাথরের ওপর তিন ফুট বড়ো একটি পায়ের ছাপ আছে। সেটি মাটির তল থেকে নির্গত জলে সর্বক্ষণ সিক্ত থাকে। এর কারণও আজও আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি।

৪. পদ্মনাভস্বামী মন্দির – কেরালার থিরুভানান্থাপুরামে অবস্থিত এই মন্দিরটি কবে নির্মিত হয়েছে কেউ ঠিক করে জানে না৷ এটি বিশ্বের সব চেয়ে ধনী মন্দির। মন্দিটির মাটির তলার গোপন কক্ষে প্রায় ২০ বিলিয়ন মূল্যের সোনাদানা, হিরে জহরত সঞ্চিত আছে। এখনও অব্দি ৮ টির মধ্যে ৫ টি গোপন কক্ষ খোলা সম্ভব হয়েছে। একটি কক্ষ এমনও আছে যা আজও পর্যন্ত খুলে দেখা সম্ভব হয় নি। ধারণা করা হয়, কোনো গোপন মন্ত্র দিয়েই সেই দরজা খোলে। কিন্তু সেই মন্ত্র কারোর জানা নেই।

৫. কৈলাশ মন্দির – মন্দিরটি অষ্টম শতকে নির্মিত এবং ইলোরা গুহায় অবস্থিত। মন্দিরটির নির্মাণকার্য আজও সম্পূর্ণ রহস্য। মন্দিরটি একটি মাত্র পাথর কেটে তৈরি। শিল্পীরা ওপর থেকে খুঁড়ে পাথক কেটে কেটে মন্দির বানাতে বানাতে নীচ অব্দি এসেছে। মন্দিরটি গ্রীসের পার্থেননের চেয়ে দ্বিগুণ বড়ো এবং ৫০% বেশি লম্বা। এটি পৃথিবীর সব চেয়ে বৃহৎ ঝুলন্ত পাথরের ছাদ ( cantilever rock ceiling)।

তাহলে, একবার যাবেন নাকি স্বচক্ষে এগুলি দেখে আসতে? লকডাউনটা কাটুক, তারপর বেড়িয়ে পড়ুন এই সব রহস্যময় ইতিহাসের পথে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!