এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শুধু জঙ্গিদের জন্য ফান্ড জোগাড়ই নয়, গোপনে ভয়ঙ্কর স্লিপার সেলও বানাচ্ছিল ধৃত মাদ্রাসা শিক্ষক

শুধু জঙ্গিদের জন্য ফান্ড জোগাড়ই নয়, গোপনে ভয়ঙ্কর স্লিপার সেলও বানাচ্ছিল ধৃত মাদ্রাসা শিক্ষক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মসজিদ তৈরির নামে জঙ্গিদের জন্য ফান্ড তৈরি করার জন্য সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের আল-কায়েদা শক্তিশালী করতে রাণীনগরের নজরানা গ্রামের জঙ্গী আব্দুল মোমিন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক, অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করে এবং এলাকার যুবকদের আরবি শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

কিন্তু এর মধ্যেই তিনি যে গোয়েন্দাদের জেরাতে জঙ্গিদের ফান্ডের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করবেন, একথা ভাবতে পারেননি অনেকেই। সেইসঙ্গে এখান থেকেই একমাস আগে এনআইএর জালে ধরা পড়া আল মামুন কামালের সঙ্গেই একইসঙ্গে কামাল জঙ্গি ফান্ডের অর্থ সংগ্রহ করতে কাজ করত বলেও জানা গেছে।

সেইসঙ্গে ইতিমধ্যেই সে কয়েক লক্ষ টাকা সেই জন্য দান করেছে বলেও জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাণীনগরে তার বাড়ি থাকলেও তিনি রায়পুরে তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। আর সেখানকারই এক মাদ্রাসায় বিগত ৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের তরফে জানা যায়, মাদ্রাসা থেকে পাওয়া পাঁচ হাজার টাকাই তিনি সংসারেই দিতন।

সম্প্রতি জানা গেছে, সংগঠনের হাইকমান্ড মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে ধৃত আল কায়েদা জঙ্গি আব্দুল মোমিন মণ্ডলকে নতুন সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা গেছে। বস্তুত, তাদের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের শিকড় বহুদূর বিস্তার করাই মাস্টারমাইন্ডদের লক্ষ্য ছিল বলেও জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সে যে স্লিপার সেল গড়ে কাজ শুরু করেছিল সেই কথাও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সে ৩০ জনের টিম তৈরি করেছিল। তাদের প্রত্যেককেরই বয়স ছিল ৩৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আবার বাংলাদেশের যুবকও ছিল। তারা প্রত্যেকেই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে চলে আসত বলে জানা গেছে। আর তারপর বিভিন্ন গোপন ডেরায় টিমের সঙ্গে বৈঠক করত তারা।

জানা গেছে সেই বৈঠকে নাকি আগেই এনআইয়ের জালে ওঠা আরও দুই জঙ্গি সামিম আনসারি ও আল মামুন কামালও যোগ দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ডোমকল এলাকার আরও তিনজনকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নজরে রেখেছে বলেও জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন ধর্মপ্রচারক রয়েছে। সে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে গিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন রাজ্যেও যে তারা প্রায়ই যেত, সেকথাও জানা যায়। সেইসঙ্গে এক মাংস বিক্রেতাকেও গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁকে ইতিমধ্যেই একদফা জেরাও করা হয়। জানা গেছে তার সঙ্গে নাকি মোমিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

সেইসঙ্গে ওই এলাকারই আর এক যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক লেগেছে বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তার সম্পর্কে বেশকিছু নথি জোগাড় করা হয়েছে। তাকেও জেরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে গোয়েন্দাদের মত, মোমিন সংগঠনের জাল বিস্তারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছিল।

শুধু তাই নয়, মডিউলের নতুন সদস্য নিয়োগের পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহেরও সে কাজ করত। বস্তুত, মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়ায় দু’টি কাজই করতে তার পক্ষে সুবিধা হত বলে জানা গেছে। তবে এই দু’টি কাজ সংগঠনের আরও বেশ কয়েকজন করত বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা। তবে তাঁদের মতে, এখনই তারা কোথাও হামলা না করলেও ভবিষ্যতের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড়সড় বিস্ফোরণের ছক ছিল বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!