এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অদ্ভুত ঘুম রোগে আক্রান্ত গ্রামের কাহিনী ঘুম উড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।

অদ্ভুত ঘুম রোগে আক্রান্ত গ্রামের কাহিনী ঘুম উড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঘুম একজন মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের অংশ। সুস্থ থাকতে মানুষের দৈনন্দিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে সেই ঘুম নিয়েও নানা অসুখের কথা শোনা যায়। সেগুলি স্লিপিং ডিসঅর্ডার হিসেবেই চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রযুক্ত। কিন্তু সেই ঘুম যদি কয়েকঘণ্টার বদলে হয় কয়েকদিনের বা কয়েক মাসের? কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে শীতঘুমের কথা শোনা গেলেও মানুষের ক্ষেত্রে এই কথা একেবারেই অস্বাভাবিক।

তবে এক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ পৃথিবীতে এমন একটি জায়গায় কথা জানা গেছে, যেখানকার মানুষেরা ঘুমরোগে আক্রান্ত। এরা ঘুমিয়ে পড়লে একটানা কয়েক মাস পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকতে পারে। এমনকি ঘুমের জন্য বিছানাতে শোয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত হয় না। যেখানে সেখানেই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। তবে এর কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।

বাস্তবে এমন অনেক কিছুই ঘটে যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে পাওয়া যায় না। সেইরকমই অদ্ভুত ঘুম রোগে আক্রান্ত এই গ্রামের কথা হতবাক করেছে বিজ্ঞানীদের। জানা গেছে, কাজাকিস্তানে এমনি একটি গ্রাম আছে যেখানকার মানুষ এই রহস্যময় ঘুম রোগে আক্রান্ত। এই রোগটির জন্যই এই জায়গাটিকে স্লিপি হলো বলা হয়ে থাকে। বস্তুত, সর্বপ্রথম ২০১০ সালে এই রোগের কথা জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই গ্রামটির জনসংখ্যা প্রায় ৬০০ জন যার মধ্যে প্রায় ১৪ শতাংশ লোকই ঘুম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, যেসব লোক এই ঘুম রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের ব্রেনের তরল পদার্থের পরিমাণ আকস্মিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয় তার সদুত্তর পাননি চিকিৎসকরা। একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে রহস্যজনক অসুস্থতার কারণে কালাচি ও ক্র্যাসনোগর্স্কে ১৪০ জনেরও বেশি লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

ওই পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশাল কাজাখ উপত্যকার মোট ৮১০ জন মানুষ বাস করেন, যাদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে রাশিয়ান এবং জার্মান, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রামবাসীরাই হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়তেন। এছাড়া ঘুম ভাঙ্গার পর স্মৃতিশক্তি হ্রাস, দুর্বলতা এবং মাথাব্যথার মত লক্ষণ দেখা যেত। ঘুম ভাঙ্গার পর ওই ব্যক্তি হাঁটাচলা করতে পারলেও ঘুমের মধ্যে তাঁরা অনেকেই হ্যালুসিনেশন করতেন বলেই জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বাচ্চা এবং যুবক সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলেও জানা যায়।

তবে এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা এই গ্রামটির পাশে থাকা একটি ইউরেনিয়াম খনিকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, ওই খনি থেকেই ক্ষতিকারক রেডিয়েশন বাতাসে ছড়িয়ে মানুষকে অসুস্থ করেছে। যদিও সেক্ষেত্রে এই রেডিয়েশনের মাত্রা এই গ্রামে অতিরিক্ত বলে সেরকমভাবে কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও অনেক বিজ্ঞানীর কথায়, ইউরেনিয়ামের রেডিয়েশন কোনোভাবেই এই রোগের জন্য দায়ী নয়। তবে এই ঘটনা যে বর্তমানে বিজ্ঞানকে নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!