এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা সবথেকে মারাত্মক হতে চলেছে ধূমপায়ীদের জন্য! এখনই হন সাবধান!

করোনা সবথেকে মারাত্মক হতে চলেছে ধূমপায়ীদের জন্য! এখনই হন সাবধান!


করোনা নিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বজোড়া ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে। যথাযথ সতর্কতা না গ্রহণ করলে দিতে হবে বিরাট মাশুল। যত দিন যাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনার ভয়াবহতাকে দেখে বিশ্বব্যাপী প্যানডেমিক বা মহামারী রূপ ঘোষণা করেছে। দেখা যাচ্ছে, সাধারণত করোনা সংক্রমণ হচ্ছে ফুসফুসে। আর তাই এবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের শরীরে মুহুর্তের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

অবশ্য করোনার অনেক আগে থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে সব ধূমপানকারীদের বারংবার অনুরোধ করা হয় ধুমপান ছেড়ে দেবার জন্য। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথাকে ধূমপায়ীরা ধোঁয়ায় উড়িয়ে দেয়। কিন্তু করোনা এখন যেরকম ভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই অবস্থাতে দাঁড়িয়েও তামাকজাত দ্রব্যের চাহিদা কিন্তু বিন্দুমাত্র কমেনি। তবে বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি করোনা আক্রান্তদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, যেসব কারণে করোনা আক্রান্তরা এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ হলেন চূড়ান্ত ধূমপায়ী।

এই সমীক্ষা মূলত ইতালি-স্পেন এবং আমেরিকার করোনা আক্রান্তদের ওপরেই করা হয়েছে। এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে করোনাতে ভুগে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের বুকে, তাঁদের বেশির ভাগই পুরুষ এবং ধূমপান করতেন। গবেষণায় উঠে এসেছে অন্য তথ্য। দেখা যাচ্ছে, মানুষের ফুসফুসে সরু সরু চুলের মত সিলিয়া থাকে। এই সিলিয়াগুলো বাইরে থেকে ধুলোবালি, জীবাণু ইত্যাদি থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। কিন্তু যদি কেউ ক্রমাগত ধূমপান চালিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে এই সিরিয়াগুলি ক্রমশ শুকিয়ে যায়।

ফলে পরবর্তীতে ফুসফুসে কোন সংক্রমণ হলে তা আর আটকাতে পারে না সিরিয়াগুলি। যার ফলে তখন খুব সহজেই ধূমপানকারীরা যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত রোগে খুব তাড়াতাড়ি সংক্রামিত হন। একইভাবে করোনা যখন ধূমপানকারীদের ফুসফুসকে আক্রমণ করছে, তখন তাঁদের ফুসফুসের সিলিয়াগুলি কাজ করছেনা। তাহলে এই অবস্থায় কি করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই ধূমপান ছাড়তে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে চেইন স্মোকারদের নিয়ে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সিগারেট থেকে দূরে থাকতে অন্য কাজকে হাতিয়ার করুন। লকডাউনের সময় সিগারেট কেনার জন্য বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। এমনকি কাউকে দিয়েও সিগারেট আনানো যাবে না। মনকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখতে বিভিন্ন রকম কাজে সংযুক্ত হতে হবে। তাতেও যদি অসুবিধা হয়, তাহলে মুখে সাধারণ লবঙ্গ ও এলাচ রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ধূমপানকারীদের আক্রান্ত হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ আছে।

অনেক সময়েই দেখা যায়, সিগারেট দোকান থেকে কিনে সাথে সাথেই খেতে শুরু করেন ধূমপায়ীরা। সে সময় তাঁদের মুখে মাস্কও থাকেনা। অন্যদিকে, সিগারেট যার কাছ থেকে নিলেন, তিনি যদি করোনার সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই যিনি সিগারেটটি কিনলেন তার শরীরে করোনার জীবাণু প্রবেশ করবে। তবে একান্তই যদি সিগারেট না ছাড়া যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভালো করে হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে তবেই সিগারেট খেতে।

এমনকি নিজের লাইটার এবং দেশলাইটিও কোনোভাবে অন্যের সাথে শেয়ার না করতে। এবং কাউন্টার পার্ট সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আবশ্যিকভাবে বর্জন করা উচিত। যেভাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনা ভাইরাস দিনের-পর-দিন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে, সেখান থেকে এই মুহূর্তে বেরোতে গেলে প্রয়োজন মারাত্মক সর্তকতা এবং অতি সচেতনতা। আর এই সর্তকতা ও সচেতনতা কারোর মধ্যে জোর করে ঢোকানো যাবেনা। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন নিজেদের চিন্তাভাবনার দরজাটিকে আরও উন্মুক্ত করা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!