এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সব কিছু সহ্যের একটা সীমা আছে – নাম না করে অনুব্রতর দিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল মন্ত্রী!

সব কিছু সহ্যের একটা সীমা আছে – নাম না করে অনুব্রতর দিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল মন্ত্রী!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলায় শেষ কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়তি সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম এবং আউসগ্রামের পর্যবেক্ষক। কিন্তু এই মঙ্গলকোট নিয়ে সমস্যা যেন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

কিছুদিন আগেই এই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আর এবার ফের সেই অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তাকে। সবকিছু সহ্যের একটা সীমা আছে বলে অনুব্রত মণ্ডলের দিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল এই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। যার ফলে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যেখানে তিনি বলেন, “2017 সালে সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে অনুব্রত মন্ডলের সাথে মিটিং মিটিংয়ে আমি ছিলাম একদিকে একা, অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের 6 জন। সুব্রত বক্সী সকলকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেদিনের কথা মানা হয়নি। এখন সামনে নির্বাচন। একসাথে কাজ করা উচিত।”

আর এরপরেই রীতিমতো সেই অনুব্রতবাবুকে নাম না করে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “সবকিছু সহ্যের একটা সীমা আছে। মঙ্গলকোটের মানুষরা ভালো। কিন্তু তাদের গরম করা হচ্ছে। আমার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাড়ে চার বছর ধরে এটা সহ্য করছি। কিন্তু এবার কঠিনভাবে বিষয়টা নিয়ে ভাবছি। সিদ্দিকুল্লাকে এভাবে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। চাইলে আমিও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারি। কিন্তু সিদ্দিকুল্লা কোনো অশান্তি চান না। কোনো গোলমাল চান না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন আরও একবার পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরানোর দাবি তোলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের অন্দরমহলে এইরকম অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আর এবার অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে যেভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে, তাতে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বার্তা দিতে চাইছে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার জন্য। কিন্তু সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা, তৃণমূলের নীচুস্তর থেকে এখন সেই দ্বন্দ্ব উপরতলায় পৌছে গেছে। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজেদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। যা ক্রমশ অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে।

আর  এবার অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে নাম না করে যেভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, তাতে শাসকদল আরও বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে তৃণমূল তাদের এই দ্বন্দ্বকে সামাল দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!